প্রকাশিত: ১২ মে, ২০২৩ ১৮:০২ (শুক্রবার)
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জিয়াউর রহমানকে হুকুমের আসামি : রিজভী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা হত্যা মামলায় জিয়াউর রহমানকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, যিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন, সেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে গতকাল (বৃহস্পতিবার) একটি মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলাটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই দেওয়া হয়েছে। কেন দেওয়া হয়েছে? কারণ সরকারের এখন ডুবু ডুবু অবস্থা।
 

শুক্রবার (১২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন রিজভী। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে ঢাকা-১২ আসনের বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, চারদিকে শেখ হাসিনার বিদায়ের ধ্বনি বাজছে। তিনি এখন ক্ষমতায় থাকার জন্য যেনতেন চেষ্টা করছেন।

তিনি দাবি করেন, সেদিন কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে সাইফুল আলম নীরবের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। সে শুধু এ কথাই বলল, ‘রিজভী ভাই আমাকে ২৪ ঘণ্টা লকআপে রাখা হয়’। কেন সাইফুল আলমকে ২৪ ঘণ্টা লকাপে রাখা হয়? জেলখানাই তো একটা লকআপ। আবার জেলের মধ্যেই নিষ্ঠুর জেল। সে বিশুদ্ধ অক্সিজেন নিতে পারবে না, শ্বাস নিতে পারবে না, কারাগারের মধ্যে মুক্তভাবে কারো সঙ্গে কথা বলতে পারবে না। কি অপরাধ করেছে সে? সে তো ক্যাসিনো চালায়নি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেনি।
 

আইজি প্রিজনকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, আপনি সেনাবাহিনীর লোক, প্রধানমন্ত্রীর এসএসএফের দায়িত্বে ছিলেন। আপনি কারাগারে অনেক সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছেন। কারাগারে অনেকের কাছে বাইরে থেকে অনেক কিছু যায়। যারা ডাকাত, প্রকৃত সন্ত্রাসী, তারা অনেক সুযোগ পায়। আর আমাদের বাসা-বাড়ি থেকে যদি খাবার যায়, আপনি সেটাও ঢুকতে দেন না।

প্রমোশনের আশায় তিনি (আইজি প্রিজন) কারাগারে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে বিএনপি মহাসচিবসহ জাতীয় নেতাদের কথাবার্তা দেখেন ও শোনেন বলেও উল্লেখ করেন রিজভী। তিনি বলেন, এই নিপীড়ন তিনি চালাচ্ছেন। সাইফুল আলম নীরব সেই নিপীড়নের অংশ। কারণ আপনার ভালো পোস্টিং দরকার, পদোন্নতি দরকার।
 

টাকা দিলে নিয়েন কিন্তু পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন– প্রধান নির্বাচন কমিশনের এই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান এই কথা বলতে পারে? সিইসি আওয়ামী চেতনা, লুটপাট ও দুর্নীতির চেতনায় অনুপ্রাণিত। তাই কালো টাকা আপনি নিতে বলছেন। এই অনৈতিক কথার জন্য তার পদত্যাগ করা উচিত।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা।


 



 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-২৩০