প্রকাশিত: ২০ মে, ২০২৩ ১৩:৪৪ (রবিবার)
দলের সঙ্গে ডিগবাজি করে ‘বেকায়দায়’ তালহা আলম!

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচনে দল ছেড়ে বেকায়দায় পড়েছেন তালহা আলম। ছয় মাস আগে তিনি ‘আলেম-উলামার’ দল হিসেবে পরিচিতি জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী হিসেবে খেজুর গাছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। এবার তিনি দল ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

গত নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চলে আসা তালহা আলম দল ছাড়ার কারণে নির্বাচনী মাঠে এবার অনেকটা বেকায়দায়। তার ফেসবুক লাইভেও এমনটি প্রকাশ পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার তিনি ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, একটি মহল আমার বিগত নির্বাচনের প্রতীক বহাল রয়েছে বলে প্রচারণা চালাচ্ছে। আমি গত নির্বাচনের পর জমিয়ত থেকে পদত্যাগ করি। এবার আমি স্বতন্ত্র নির্বাচন করছি, আমার প্রতীক কাপ পিরিচ। লাইভে তিনি কাপ পিরিচে ভোট প্রার্থনা করেন।

জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রাক্কালে জমিয়ত উলামায়ে ইসলামে যোগদান করেন তালহা আলম। জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী জমিয়ত নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক প্রচারণা ও গণসংযোগের কারণে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আকমল হোসেনের সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চলে এসে চমক দেখান তিনি। নির্বাচন শেষ হতে না হতেই তিনি ঘোষণা দিয়ে জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম ত্যাগ করেন।

এবার নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। অপরদিকে জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম থেকে প্রার্থী হয়েছেন যুক্তরাজ্য জমিয়তের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম কামালী সিতু। খেজুর গাছ প্রতীকে তিনি ভোট যুদ্ধে নামায় নির্বাচনী মাঠে বেকায়দায় তালহা আলম।

জমিয়ত উলামায়ের ইসলামের উপজেলা শাখার প্রচার সম্পাদক আব্দুল হাই আল হাদী বলেন, জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম একটি প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন। জগন্নাথপুরের প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে আমাদের সাংগঠনিক কমিটি রয়েছে। একাধিক জাতীয় স্থানীয় নির্বাচনে জমিয়তের প্রার্থী মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল। জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী এ নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য ছিলেন। তাই এবার নির্বাচনেও জমিয়তের ভোট ব্যাংক আবারও প্রমাণিত হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তালহা আলমের এক কর্মী বলেন, এত কম সময়ে আরেকটি নির্বাচনে অংশ নিতে হবে তা তিনি বুঝে উঠতে পারেননি। তিনি ৫ বছর পরের নির্বাচনকে সামনে রেখে জমিয়ত ছেড়েছিলেন। এই ভুলের কারণে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। তবে কৌশল হিসেবে তিনি বিএনপিকে মাঠে টানার চেষ্টা করছেন।

এ প্রসঙ্গে জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু হোরায়রা ছাদ মাষ্টার বলেন, বিএনপি এ সরকারের অধীনে সব নির্বাচন বয়কট করেছে। তাই বিএনপির কোন কর্মী ভোটে যাওয়ার প্রশ্ন উঠে না।

তালহা আলম বলেন, জনগণের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। গত নির্বাচনে আমার জয় পাল্টে দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী মাঠে মানুষের সাড়া পাচ্ছি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ মাহি