প্রকাশিত: ২১ মে, ২০২৩ ২১:৫৪ (মঙ্গলবার)
ওসমানীতে বার্ন ইউনিটের কাজ শুরু শীঘ্রই

আগুনে পোড়া রোগীদের দ্রুত উন্নত চিকিৎসাসেবা দিতে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট বার্ন ইউনিট স্থাপনের প্রস্তুতি চলছে। ২০১৮ সালে টেন্ডার হওয়ার পর বিভিন্ন কারণে দেরি হলেও অবশেষে হাসপাতালের ৩ থেকে ৭ তালা পর্যন্ত হচ্ছে বার্ন ইউনিট।
 

দেশে প্রতিবছর বিভিন্নভাবে প্রায় ৮ লাখ মানুষ অগ্নিদুর্ঘটনার শিকার হন। পোড়া রোগীদের ২১ শতাংশ ঢাকা এবং আশপাশের জেলা থেকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিতে যান।
 

কিন্তু দূর-দূরান্ত থেকে আসা ৭৯ ভাগই গোল্ডেন আওয়ারের মধ্যে (দুর্ঘটনার প্রথম ২৪ ঘণ্টা) হাসপাতালে ভর্তি হতে ব্যর্থ হন। এর ফলে রোগীর ক্ষতি বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঢাকার বাইরে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট পৃথক বার্ন ইউনিট হচ্ছে।
 

জানা যায়, ‘১০০ শয্যা বিশিষ্ট বার্ন ইউনিট’ প্রকল্পের আওতায় এটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। গত জানুয়ারি থেকে ইতোমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৫ সালের জুনে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৬ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর একনেক সভায় পাঁচ জেলায় বার্ন ইউনিট স্থাপন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ছাড়াও এ প্রকল্পে ঋণ দিয়েছে সৌদি সরকার।
 

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া সিলেটভিউকে বলেন, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খুব সহসাই শুরু হবে বার্ন ইউনিটের কাজ। সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ছাড়াও এ প্রকল্পে ঋণ দিয়েছে সৌদি সরকার। ২০১৮ সালে এর টেন্ডার হয়েছিল। এখন জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আবরো এর রিভিও চলছে।
 

মাহবুবুর রহমান জানান, হাসপাতালের তিন তালা থেকে সাত তালা পর্যন্ত হবে এই পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট। তবে হাসপাতালের দ্বিতীয় তালায় আইসিইউ থাকায় বার্ন ইউনিট তৈরি কাজের সময় রোগীদের কিছু সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে একমাসের জন্য ২০ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউ ওয়ার্ডে দশ তালায় স্থানান্তর করাতে হতে পারে।
 

তিনি জানান, পিডাব্লিউডিকে তারাতারি কাজ শুরু করার জন্য বলা হয়েছে। কাজ শুরু হয়েগেলে এক বছরের মধ্যে বার্ন ইউনিট চালু করা যাবে বলে মনেকরেন তিনি।


 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/নাজাত/এসডি-৪৩৯