প্রকাশিত: ২৩ মে, ২০২৩ ১৬:২৯ (শুক্রবার)
তলব মেনে ন্যাব কার্যালয়ে হাজির ইমরান খান

আলোচিত আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে পাকিস্তানের দুর্নীতি দমন সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর (ন্যাব) সদর দপ্তরে হাজির হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান।
 

ইসলমাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলায় জামিনে থাকা ইমরান খানকে তলব করে গত ২০ মে সমন জারি করেছিল ন্যাব। সেখানে ২৩ মে দুপুরে রাওয়ালপিন্ডি শহরে ন্যাবের সদর দপ্তরে হাজির হতে বলা হয়েছিল পিটিআই চেয়ারম্যানকে। সেই তলব মেনেই আজ মঙ্গলবার ন্যাশনাল অ্যাকউন্টিবিলিটি ব্যুরোর মূল কার্যালয়ে হাজির হয়েছেন তিনি।


পিটিআইয়ের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ইমরান খানের আগমনকে ঘিরে ন্যাব কার্যালয় ও তার আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


এর আগে গত ৯ মে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ইমরান খানকে। পিটিআই চেয়ারম্যানকে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১ মে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল ন্যাব।
 

ন্যাবের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজির আহমেদ বাট স্বাক্ষরিত সেই পরোয়ানা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সোহাওয়া শহরে আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পের নামে ব্রিটেনের একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানিকে রাষ্ঠীয় কোষাগার থেকে ১ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ড দিয়েছিলেন ইমরান খান, তার বর্তমান স্ত্রী বুশরা বিবি এবং ইমরানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের কয়েকজন জেষ্ঠ্য নেতা।


এদিকে ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভ শুরু করে পিটিআই। পাকিস্তানের চারটি প্রদেশের বিভিন্ন শহরে সরকারি বেসামরিক ও সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন ভবন ও কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করেন তারা। এমনকি তাদের রোষের শিকার হয় অনেক সেনা কর্মকর্তারা বাসভবনও।
 

বিক্ষোভ গুরুতর রূপ নেওয়ায় ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশজুড়ে সেনা নামাতে বাধ্য হয় পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট ইমরানের গ্রেপ্তারকে অবৈধ ঘোষণার পাশপাশি আল-কাদির ট্রাস্টসহ বিভিন্ন মামলায় ইমরান খানকে জামিন দেওয়ার নির্দেশনা দেন।
 

সেই নির্দেশনা মেনে ইমরান খানকে এই মামলায় আগামী ৩১ মে পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাই কোর্ট।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এনটি