প্রকাশিত: ২৪ মে, ২০২৩ ২০:৫৪ (বৃহস্পতিবার)
আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর যতো সম্পদ

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১১ জন। তন্মধ্যে আলোচনায় থাকা কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বির অন্যতম আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তাঁর বার্ষিক আয় প্রায় তিন লাখ টাকা। তবে তাঁর হাতে নগদ প্রায় ৪২ লাখ টাকা আছে।

নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত হলফনামা পর্যালোচনা করে পাওয়া গেছে এমন তথ্য।

সিলেট নগরীর পাঠানটুলা মোহনা আবাসিক এলাকায় আনোয়ারুজ্জামানের বাসা।

হলফনামা অনুসারে, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বিএ (অনার্স) পাস। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই; অতীতেও ছিল না। নিজের পেশা ‘ব্যবসা’ উল্লেখ করেছেন তিনি।

আনোয়ারুজ্জামানের বার্ষিক আয় ২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৪ টাকা। তন্মধ্যে কৃষিখাত থেকে আয় ১ লাখ টাকা দেখিয়েছেন তিনি। ‘বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া’ খাতে তিনি বছরে ৪৭ হাজার ৫৪২ টাকা আয় করেন বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া ব্যবসা থেকে বছরে তাঁর আয় ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৪২ টাকা। তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের কোনো আয় উল্লেখ করেননি তিনি।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ৪১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৪৮ টাকা। তাঁর স্ত্রীর নামে আছে ৪৭ ভরি স্বর্ণ।

অস্থাবর সম্পদ খাতে আনোয়ারুজ্জামান ২টি টিভি, ১টি ফ্রিজ, ২টি এসি, দুই সেট সোফা, ৪টি খাট, ১টি টেবিল, ১০টি চেয়ার ও ২টি আলমিরা থাকার কথা উল্লেখ করেছেন।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে তাঁর নামে ৩ বিঘা কৃষি জমি, ২৩ শতক কৃষি জমি, ১টি দালান, ১টি বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের নামে কিংবা যৌথ মালিকানায় কোনো স্থাবর সম্পদের তথ্য দেননি তিনি।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর কোনো দায়-দেনা অথবা কোনে প্রকারের ঋণ নেই।

হলফনামা প্রসঙ্গে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের সঙ্গে প্রত্যেক প্রার্থীই প্রয়োজনীয় তথ্যাদির হলফনামা দাখিল করেছেন। এসব হলফনামা যাচাই-বাছাই করা হবে। যদি কোনো অসঙ্গতি মেলে, তবে বিধি অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে