প্রকাশিত: ২৫ মে, ২০২৩ ১৮:১৫ (শুক্রবার)
এবার আর ‘ভুল’ করতে চায় না বাংলাদেশ

ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সাথে কুলিয়ে উঠতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। এই সেদিন মানে গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে টাইগারদের দুর্দান্ত টিম পারফরম্যান্সের কাছে চরমভাবে পর্যুদস্ত হয়ে দেশে ফিরে গেছে আইরিশরা।
 

কিন্তু আফগানিস্তানের সাথে টেস্ট ম্যাচে কি টাইগারদের যাত্রা পথ ততটা মসৃণ থাকবে? ইতিহাসকে মানদণ্ড ধরলে বলতে হবে, না। আফগানদের সঙ্গে টাইগাররা অত সহজে পেরে উঠবে বলে মনে হয় না।
 

কারণ ৪ বছর আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আফগানদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে চরম ভরাডুবি ঘটেছিল টাইগারদের। ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল সাকিব আল হাসানের দল।

আফগানরা প্রথম ইনিংসে ৩৪২ আর পরেরবার ২৬০ রান করলেও বাংলাদেশ এক ইনিংসেও তাদের ধারেকাছে যেতে পারেনি। প্রথম ইনিংসে ২০৫ আর পরের বার ১৭৩ রানে অলআউট হয়ে বিশাল ব্যবধানে হেরে বসে।
 

রশিদ খান একাই টাইগারবধের নায়ক বনেছিলেন। নাহ, শুধু লেগস্পিনের বিষাক্ত ছোবলে নয়। সঙ্গে ব্যাট হাতেও দারুণ খেলেছিলেন রশিদ। প্রথম ইনিংসে ৫১ আর পরেরবার ২৪ রানের দুটি ইনিংস খেলার পাশাপাশি ম্যাচে ১১ উইকেট (৫/৫৫, ৬/৪৯) শিকার করে বাংলাদেশের বারোটা বাজিয়ে ছাড়েন এ আফগান অলরাউন্ডার।
 

এবার সেই আফগানরা আরও শাণিত। কারণ প্রায় সবাই আইপিএল খেলে আসছেন। তাদের বিপক্ষে দল সাজানো কাজটা সহজ নয়। তবে নির্বাচক হাবিবুল বাশারের কথা শুনে মনে হলো, তারা আগের চেয়ে সাহসী। ভেতরে আস্থাও বেশি।

বাশারের অনুভব, ‘আগের চেয়ে দল অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। আস্থাটাও বেশি। ক্রিকেটার নির্বাচন বা দল সাজানোর সিদ্ধান্ত নিতে টাফ হচ্ছে না। কারণ, আমার মনে হয়, আমরা এখন অনেক কনফিডেন্ট টিম।’
 

আফগানিস্তানকে খুব ভালো দল অভিহিত করে বাশার বলেন, ‘আফগানদের সঙ্গে শেষ টেস্ট ম্যাচ আমরা ভালো খেলিনি। হেরেছিলাম। তবে এবারের ম্যাচটাতে ডেফিনেটলি ভালো খেলতে চাই। আমার মনে হয় এখন দলটা অনেক বেশি কনফিডেন্ট। কোন উইকেটে খেলতে চাই, কোন উইকেটে খেলা উচিত আমরা পরিষ্কার। কাজেই যে সিদ্ধান্ত নেই, আমাদের অসুবিধা হবে না।’
 

দলে কোন নতুন মুখ বা চমক থাকবে কিনা? জানতে চাওয়া নির্বাচক বাশারের জবাব, ‘চমক বলে তেমন কিছু নেই। টেস্ট দলটা করব ডেফিনিটলি যে দলটা জিততে পারে। বেস্ট পসিবল প্লেয়ারদের নিয়ে দলটা করব।’



 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-৫৩৯