প্রকাশিত: ২৫ মে, ২০২৩ ১৮:৫৮ (শুক্রবার)
কেন্দ্র ৫৫ : আজমত ২৩০২৬, জায়েদা ২৪৩৫১

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ভোটে এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে আসা ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়।
 

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী- ৪৮০ কেন্দ্রের মধ্যে ৫৫টির ফলাফলে আজমত উল্লা খান (নৌকা) ২৩ হাজার ২৬ আর জায়েদা খাতুন (টেবিল ঘড়ি) ২৪ হাজার ৩৫১ ভোট পেয়েছেন।
 

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৪৮০টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ। কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় ভোট।
 

সহিংসতার খবর না পাওয়া গেলেও কিছু কিছু জায়গায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট দিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন অনেকে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মেলা, এক বুথের ভোটাররা অন্য বুথে যাওয়া নিয়ে ভোগান্তির সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ শোনা যায়। প্রায় বেশিরভাগ কেন্দ্রেই ইভিএম ধীরগতিতে কাজ করেছে।
 

সকালে এক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদা খাতুন বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে তার এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি নির্বাচনী ফলাফল যাই হোক তা মেনে নেবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএমের ধীরগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

আজমত উল্লা খান বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল থেকে মানুষ ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়েছে। ভোটের যে কোনো ফলাফল অবশ্যই মেনে নেব। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। সবসময় জনগণের অপিনিয়নের প্রতি আমি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আসছি। আজ জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে, আমি সেটা অবশ্যই মেনে নেব। আমি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সব সময় জনগণের সঙ্গে ছিলাম।
 

সিটি কর্পোরেশনের ৪৮০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ৩৩৩ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশ নেন। এর মধ্যে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী আছেন। এছাড়া সাধারণ ওয়ার্ডে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
 

সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডে এই নগরের এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৭ জন, নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার আছে ১৮ জন।


 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-৫৪৪