প্রকাশিত: ২৫ মে, ২০২৩ ২১:৫২ (বৃহস্পতিবার)
মিছিল-মিটিং আর উন্নয়ন ভিন্ন বিষয়: কাউন্সিলর আজাদ

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের টানা চারবারের কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ বলেছেন, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে সিলেট সিটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সঠিক সিদ্ধান্ত। দলের হাইকমান্ড বুঝতে পেরেছেন- এমন একজনকে সিলেটে মেয়র প্রার্থী করা দরকার, যাকে সিলেটবাসীর বেশি প্রয়োজন। আনোয়ারুজ্জামান যুক্তরাজ্যে রাজনীতি করেছেন কথাটি ভুল। তিনি ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে এই সিলেট থেকেই তার রাজনীতির সূচনা করেছিলেন পরবর্তীতে দেশ-বিদেশ মিলিয়ে তিনি সবসময় সুখে-দুঃখে সিলেটবাসীর পাশে ছিলেন। আমরা দীর্ঘদিন একসাথে রাজনীতি করেছি। আওয়ামীলীগ যারা করেন তারা শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথীবির সকল প্রান্তে আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মী রয়েছেন। যারা মিছিল মিটিং করে তারাই শুধু আওয়ামীলীগ করবে এমনটা ঠিক নয়। আওয়ামীলীগ যারা চালান তারা অনেকেই মিছিল মিটিং না করলেও দলীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধাম্ত তারা নিয়ে থাকেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা মনে করেছেন আমাদেরকে দিয়ে হয়তো মিছিল মিটিং হবে কিন্তু সিলেট নগরীর উন্নয়নে একজন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর প্রয়োজন। সিলেটের সার্বিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ডিজিটাল সিলেট কিংবা স্মার্ট সিলেট সবই সম্ভব একজন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে দিয়ে। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সহ বর্তমান সরকারের সকল স্থরে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। ইনশাআল্লাহ আগামী ৫ বছর হবে সিলেটে ব্যাপক উন্নয়নের বছর।


বুধবার (২৪ মে) সিসিক নির্বাচন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সমর্থনে মহানগরের ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কাউন্সিলর আজাদ এসব কথা বলেন।

আজাদুর রহমান আজাদ আরও বলেন, ২১ জুন আনোয়ারুজ্জামানের বিজয় নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিলো সেটি প্রমাণ করতে হবে। ইনশাআল্লাহ অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমেই নৌকার বিজয় হবে। ২১জুন রাতে আমরা বিজয় মিছিল করবো ইনশাআল্লাহ।


আনোয়ারুজ্জামানের সঙ্গে তাঁর ভাই-ভাই সম্পর্ক উল্লেখ করে আজাদ বলেন- আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হলেও তিনি মূলত আমার ভাইয়ের মতো, আমরা একই পরিবারের সদস্য। একান্ত ব্যাক্তিগত পর্যায়ে যদি বলি তাহলে আমার বিয়ের বিষয়েও তাঁর অবদান রয়েছে। আমার স্ত্রী তাকে মামা বলেই সম্বোধন করেন।


সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সমালোচনা করে কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ বলেন, বর্তমান মেয়র ২০ তারিখ পর্যন্ত নগরবাসীকে অপেক্ষা করিয়ে ঘোষণা দিলেন- তিনি নির্বাচনে যাবেন না। তিনি মনে করেছিলেন- নগরের সব বাসিন্দা ওইদিন রেজিস্ট্রি মাঠে চলে যাবেন। কিন্তু গিয়ে দেখলেন- মাঠ ফাঁকা। তাই তিনি তার সিদ্ধান্ত বদলে ফেলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন- এবারের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া সম্ভব নয়, তাই তিনি ভোট বর্জন করেছেন। কারণ- গত ১০ বছরে সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যে উন্নয়ন সিলেটে হয়েছে সেগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন। মেয়র আরিফের ব্যক্তিগত কোনো উন্নয়ন নয়। মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সব উন্নয়নগুলো সিসিককে দিয়ে করিয়েছেন।

২০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বদরুল হেসেন লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মজিদের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত সিসিক মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সহ সভাপতি মো. সানাওর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রঞ্জিত মরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তার খান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আখলাকুর রহমান সেলিম, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুসফিক জায়গীরদার ও সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম প্রমূখ।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-৫৫২