দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ আসনে নৌকার মাঝি হতে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট মদন মোহন কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ সুয়েবুর রহমান সুয়েব।
তিনি ২১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেন।
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা প্রভাষক মোহাম্মদ সুয়েবুর রহমান সুয়েবের সাথে ছিলেন- বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আনিসুল ইসলাম জুয়েল, সাবেক উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক সুজন মিয়া প্রমুখ।
এর আগে গত সোমবার রাতে হযরত শাহজালাল রহ: মাজার জিয়রত করে মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার উদ্দেশ্যে সিলেট থেকে ঢাকা যান।
ফরম জমা শেষে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে এবং নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হবে ইনশাআল্লাহ।’
তিনি বলেন, “আমি একজন আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। আমার পরিবারের সকল সদস্য ও নিকট আত্মীয়গণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার দাদা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসাবেও অতিগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আমার পিতা মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, মোহনগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে (নেত্রকোণা জেলা) পড়াশুনা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে কাজ করেছেন ও রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের সাথে কাজ করছেন। আমার ছোট ভাই- মোহাম্মদ আবু তৌহিদ জুয়েল (মৃত) জামালগঞ্জ সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। সে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কাজ করেছে। অপর ছোটভাই- সোহেল আহমেদ, বি.এস.সি-ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। মায়ের বড় দু’মামা- আর্শাদ আলী তালুকদার (মৃত) সুনামগঞ্জ জুরি বোর্ডের হাকীম ছিলেন এবং সফর আলী তালুকদার (মৃত) প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম সহচর হিসেবে কাজ করেছেন। আমার মামা- সিরাজুল ইসলাম তালুকদার, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। আমি নিজে ছাত্রলীগ থেকে যুবলীগ হয়ে এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় আছি। ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন সহ সুনামগঞ্জ জেলা, সিলেট মহানগর ও জেলায় আন্তরিকতার সাথে দলীয় কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়াও ব্যক্তিগত উদ্যোগে মহামারি করোনা সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় হত দরিদ্রদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছি। জীবনে অনেক কঠিন রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কার্যক্রম জনগণের মধ্যে তুলে ধরতে ও দলের প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দলীয় অনুষ্ঠানে যোগদান সহ রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করে যাচ্ছি। জাতীয় নির্বাচন, উপ-নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও স্থানীয় নির্বাচনে কাজ করে আসছি। নির্বাচন ও বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, ব্যাজ, টি-শার্ট, গেঞ্জি, ক্যাপ এর মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়েছি। বঙ্গবন্ধু জন্মবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন সাটানো সহ লিফলেট, ক্যাপ বিতরণ করে জন্মবার্ষিকীকে উৎসবে পরিণত করার চেষ্টা করেছি এবং আমার লেখা “শাশ^ত বাংলার অবিনশ^র মুজিব” ও মহাকাব্যের মুজিব” নামক দু’টি বই শীঘ্রই প্রকাশিত হবে। এসব দিক বিবেচনা করলেও সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন আমি পেতেই পারি।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এই আসনে থেকে দু’বার নির্বাচিত হয়েছেন। সংসদ সদস্য হিসাবেও অভিজ্ঞ। এলাকায় অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধার ঘাটতি নেই। দল তাঁকে মনোনয়ন দিলে অবশ্যই আমি তাঁর সাথে আছি, থাকবো। তবে যদি তাঁর ব্যতিক্রম কিছু হয়, তাহলে অবশ্যই মনোনয়নের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।”
সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-৪৭৮