প্রকাশিত: ২৯ মার্চ, ২০২৪ ২১:১৭ (সোমবার)
হাওরাঞ্চলে ঈদের কেনাকাটায় ভিড় বাড়ছে

সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন মার্কেটে শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। মার্কেটগুলোতে পুরুষের চাইতে নারী ক্রেতার সমাগম বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে দোকান ও মার্কেটগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। এই ভিড় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত থাকছে। শাল্লা, মধ্যনগর, তাহিরপুর ও জগন্নাথপুরের অনেকটা জমে উঠেছে ঈদ বাজার।


কাপড়, জুতা ও কসমেটিক্স দোকানে ক্রেতা সাধারণের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ফুটপাতের মৌসুমি ও ভ্রাম্যমাণ দোকানেও নিম্নবিত্ত মানুষদের আনাগোনা আছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সরেজমিনে বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। অনেকে পরিবার নিয়ে এসেছেন। অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে তারা আগে ভাগেই সেরে নিচ্ছেন ঈদের কেনাকাটা। পছন্দের পণ্যটি নিয়ে খুশি মনে ফিরছেন অনেকেই। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ এবার পোশাকের দাম তুলনামূলক অনেক বেশি।


অপরদিকে রমজানের এই সময়ে ক্রেতাদের এমন সমাগম দেখে ঈদে ভালো বিক্রির আশা করছেন বিক্রেতারা। ঈদকে ঘিরে মেয়েদের পোশাকের মধ্যে আলিয়া কাট ও নায়রা এবং ছেলেদের পোশাকের মধ্যে সিকুয়েন্স ও সুলতান পাঞ্জাবি এবার বেশি সাড়া ফেলার সম্ভাবনাও দেখছেন তারা। এবছর ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে থাকা মেয়েদের আলিয়া কাট বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২’শ টাকায়। ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে থাকা ছেলেদের সিকুয়েন্স পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫শ’ টাকায়।


মধ্যনগরের একটি ফ্যাশন হাউজের মালিক বলেন, এবার ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের পোশাক উঠিয়েছি। রোজার শুরু থেকে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। আশা করছি এবার বিক্রি ভালো হবে।


জগন্নাথপুর বাজারের নিউ ঝলক ফ্যাশন এন্ড সুজ’র সত্ত্বাধিকারী মালিক কুদ্দুছ মিয়া বলেন, এবার রমজানের প্রথম থেকেই মোটামুটি ভালো বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি ভালো ব্যবসা হবে।


শাল্লার গুলশানা বেগম বলেন, আমার হাজব্যান্ড একজন সংবাদকর্মী। খুব বিজি থাকেন। তাই আমার হাজব্যান্ড জন্য একটা পাঞ্জাবি নিলাম। তবে গতবারের তুলনায় দাম একটু বেশি। কিন্তু পছন্দমতো কিনতে পেরে খুশি তিনি।


পরিবারসহ কেনাকাটা করতে এসেছেন নুর নবী। তিনি বলেন, রোজার শেষ সময় মার্কেটে অনেকে ভিড় থাকে। ভিড়ের মধ্যে কেনাকাটা করা খুব কষ্টের। অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়, তাই আগেই কেনাকাটা সেরে ফেলছি।


বাজারের কয়েকজন কসমেটিক্স দোকানদারের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, গতবারের তুলনায় ক্রেতা বেশি, কেনাবেচাও বেশি। পোশাক ও কসমেটিক্সের পাশাপাশি বেড়েছে জুতা, স্যান্ডেলের বিক্রি। ছোট-বড় সবাই আসছেন, সাধ্যের মধ্যে পছন্দমতো জুতা-স্যান্ডেল কিনতে। কারও কাছে মান ও দাম ঠিক থাকলেও, কারও কাছে গতবছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে দোকানিরা বলছেন তারা যেভাবে কিনে এনেছেন সেভাবেই বিক্রি করছেন।

 

তাহিরপুরের এক ব্যবসায়ী জানান, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা যেন নির্বিঘ্নে তাদের বেচাকেনা সম্পন্ন করতে পারেন সেজন্য আমরা ব্যবসায়ী নেতারা তৎপর রয়েছি। নিয়মিত ব্যবসায়ীদের খোঁজ খবর নিচ্ছি, মার্কেট মনিটরিং করছি।


 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / মাহি