ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারা দেশে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কসংলগ্ন এলাকায় কোরবানির পশুর ২০২টি হাট বসছে। এরমধ্যে ১০৩টি অস্থায়ী। আর সিলেট বিভাগের মহাসড়কসংলগ্ন এলাকায় পাঁচটি স্থায়ী হাটের পাশাপাশি তিনটি অস্থায়ী হাট বসছে। উল্লেখযোগ্য হাটগুলো হলো গোয়ালাবাজার, সৈয়দপুর বাজার ও মিরপুর বাজার। তবে এসব হাটের কারণে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের অন্তত ৩৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তীব্র যানজটের আশঙ্কা করছে পুলিশ। এতে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপনে ঘরমুখী মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
পশুর হাট-সংক্রান্ত পুলিশ সদর দপ্তরের এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে জানা গেছে, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কসহ জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ২০২টি পশুর হাট বসানোর প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এসব হাটে পশুবোঝাই ট্রাকের যাতায়াতে মহাসড়কগুলোতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হবে।
জানা গেছে, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে তীব্র যানজট হবে ৩৬টি স্থানে। এগুলোর মধ্যে নরসিংদীর মাধবদী বাসস্ট্যান্ড, শেখেরচর, পাঁচদোনা মোড়া, ভোলানগর ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাব উল্লেখযোগ্য।
এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখব। পশুর হাটগুলো যাতে মহাসড়কের ওপর চলে না আসে, সে বিষয়ে ইজারাদারদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেউ আইনের ব্যত্যয় ঘটালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে যাত্রী কল্যাণ সমিতির নেতারা বলছেন- পশুর হাটের কারণে ইতোমধ্যেই অনেক মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পশুর হাটগুলো ঈদযাত্রায় ভোগান্তির বড় কারণ হবে। জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত করা হলেও অব্যবস্থাপনার কারণে মানুষের দুর্ভোগ কমে না।
সিলেটভিউ২৪ডটকম / মাহি