দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে আগামী ৬ জুলাই ‘এপেক্স অ্যাস্ট্রো অলিম্পিয়াড’ এর সিলেট বিভাগীয় প্রথম রাউন্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা অবধি চলবে এই পরীক্ষা।
‘মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি জিওগ্রাফি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি’র সাংগঠনিক সহায়তায় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ‘এপেক্স অ্যাস্ট্রো অলিম্পিয়াড’ এর সিলেট বিভাগীয় ভেন্যু পার্টনার হিসেবে কাজ করছে।
অলিম্পিয়াডের প্রচারের জন্য ‘মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি জিওগ্রাফি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি’র নিবেদিত স্বেচ্ছাসেবকদের একটি দল সিলেটজুড়ে ১৯টি স্কুল ও কলেজে সরেজমিনে যান। তাদের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে।
‘বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’ এবার ১৯তম বারের মতো ‘বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রো অলিম্পিয়াড আয়োজন করছে। এটি মূলত দেশের শিশু-কিশোর জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুরাগীদের জন্য একটি প্রধানতম ইভেন্ট। এ বছরের অলিম্পিয়াডে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের (বয়স ১৪-১৫ বছর) এবং সিনিয়র শিক্ষার্থীদের (বয়স ১৬-১৮ বছর) জন্য তিনটি ধাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ রয়েছে। ধাপ তিনটি হলো: আঞ্চলিক রাউন্ড, জাতীয় রাউন্ড এবং আন্তর্জাতিক রাউন্ড।
দেশের ৮টি বিভাগে ও ২টি জেলা শহরে এই অলিম্পিয়াড শুরু হবে। ৩০ জুন বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। প্রথম রেজিস্ট্রেশনকারী ২০০ জন শিক্ষার্থী প্রত্যেক অলিম্পিয়াড ভেন্যুতে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।
অলিম্পিয়াড প্রসঙ্গে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ে দেশব্যাপী যে অলিম্পিয়াডের কার্যক্রম পরিচালনা করছে তা বাংলাদেশের শিশু কিশোরদের গবেষণা এবং জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ে আরো বেশি আগ্ৰহী করে তুলবে। এই অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াড শিশু কিশোরদের জন্য মহাবিশ্বের আশ্চর্যের সাথে জড়িত হওয়ার এবং তাদের জ্ঞান এবং দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য একটি অতুলনীয় সুযোগ প্রদান করবে। আগামীর বাংলাদেশের কর্ণধার তৈরিতে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার এবং আমরা বলতেই পারি, এটিই হচ্ছে আমাদের নতুন বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।
সিলেটভিউ৪ডটকম/আরআই-কে