প্রকাশিত: ০৭ জুলাই, ২০২৪ ১৯:৪৪ (রবিবার)
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে ‘এপেক্স অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াড’ বিভাগীয় বাছাইপর্ব সম্পন্ন

বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত ১৯তম ‘এপেক্স অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াড’ এর সিলেট বিভাগের প্রাথমিক বাছাইপর্ব শনিবার (৬ জুলাই) মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে সম্পন্ন হয়েছে। সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী বাছাই পর্বে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে সিনিয়র গ্রুপে ২০ জন ও জুনিয়র গ্রুপে ২০ জনকে নির্বাচিত করা হয়।

‘মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি জিওগ্রাফি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি’র সাংগঠনিক সহায়তায় দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ‘এপেক্স অ্যাস্ট্রো অলিম্পিয়াড এর সিলেট বিভাগীয় ভেন্যু পার্টনার হিসেবে কাজ করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ মাহফুজুল হাসান, বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন’র চেয়ারম্যান মশহুরুল আমিন, প্রফেসর (অব.) বিজিত কুমার ভট্টাচার্য্য প্রমুখ। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের লেকচারার এবং ‘মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি জিওগ্রাফি এন্ড অ্যাস্ট্রনোমিক্যাল সোসাইটি’র প্রেসিডেন্ট শামিহুল ইসলাম খান লিমন।

জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। অনুষ্ঠানে জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা করেন প্রফেসর (অব.) বিজিত কুমার ভট্টাচার্য্য। পরিবেশ বিষয়ক আলোচনা করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম।

পরবর্তীতে অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা নিজেরা প্লেন এবং রকেট মডেল তৈরি করে। এতে তাদের সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন এবং মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি জিওগ্রাফি এন্ড অ্যাস্ট্রনোমিক্যাল সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা। পরে অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষামূলক, অ্যাস্ট্রনোমি এবং রোবোটিক্স স্টল পরিদর্শন করে এবং রোবোটিক্স গেমে অংশগ্রহণ করে। এপেক্স অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াড এর সিলেট বিভাগের প্রাথমিক বাছাই পর্বে নির্বাচিতদের সার্টিফিকেট ও মেডেল প্রদান করা হয়।

পরিশেষে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এবং এর মাধ্যমে পুরো অনুষ্ঠানের সফল সমাপ্তি ঘটে।

বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ১৯তম বারের মতো দেশব্যাপী আয়োজিত ‘এপেক্স অ্যাস্ট্রো অলিম্পিয়াড’-এ এবারের আয়োজনের থিম ফটো হিসেবে একজন নভোচারীর ফটো ব্যাবহার করা হয়েছে। কারণ বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন রাশিয়ার সরকার এবং রাশিয়ান স্পেস এজেন্সির সহোযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশী নভোচারী মহাকাশে পাঠাতে চায়। ২০২৫ সালে এই ব্যাপারে অনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে