প্রকাশিত: ০৯ জুলাই, ২০২৪ ২৩:২৭ (শুক্রবার)
সিসিক কাউন্সিলর আজাদের বাসায় হা ম লা র আসামিরা লাপাত্তা

সিলেট সিটি করপোরেশনের পাঁচবারের কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদের টিলাগড় ও পূর্ব শাপলাবাগস্থ বাসায় হামলার মামলার বেশিরভাগ আসামী এখনো অধরা। হামলার পর থেকে আসামীরা লাপাত্তা হয়ে আছেন। পুলিশ বলছে আসামীদের ধরতে সিলেট ও সিলেটের বাইরে অভিযান চলছে। কিন্তু গা ঢাকা দেওয়া আসামীদের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। 

 


গত ২৭ জুন দিবাগত রাতে কাউন্সিলর আজাদের টিলাগড় ও পূর্ব শাপলাবাগের বাসায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এসময় মিরাপাড়ায় যুবলীগ নেতা শমসের আলীর বাসায়ও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় কাউন্সিলর আজাদ ও শমসের আলী শাহপরাণ থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেন। দুই মামলায় অন্তত ৪০ জনকে আসামী করা হয়। 

 


কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ দুই মামলার ৫ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- নগরের টিলাগড় কল্যানপুরের মৃত শেখ মখন মিয়ার ছেলে শেখ নজরুল ইসলাম বিজয় (৩০), শাপলাবাগ ২নং রোডের ৮০ নম্বর বাসার আবদুর রহিম মল্লিকের ছেলে ফুজায়েল মল্লিক (২০), মোহাম্মদপুরের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে রাহেল উদ্দিন রাবেন (৩২), টিলাগড় কল্যানপুরের মান্নান মিয়ার ছেলে তারেক আহমদ (৩১) ও বটেরতলের হারুনুল ইসলাম (২০)। 

 


মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মামলার আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আসামীরা গা ঢাকা দেওয়ায় তাদেরকে গ্রেফতারে বেগ পেতে হচ্ছে। 

 


কাউন্সিলর আজাদের পাশে রাজনীতিবীদ ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ : কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের বাসায় হামলার ঘটনার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা তার বাসায় ছুটে যান। ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান তারা। নেতৃবৃন্দ একজন জনপ্রতিনিধির বাসায় হামলার ঘটনাকে বর্বরোচিত উল্লেখ করে বলেন, হামলাকারীরা ওই এলাকার চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী ও চোরাচালানী। এদের বিরুদ্ধে অতীতে মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ, চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। তাই টিলাগড়সহ নগরের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় এদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত। 

 


হামলার ঘটনার খবর পেয়েই কাউন্সিলর আজাদের বাসায় ছুটে যান প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। 

 


এছাড়া সংসদ সদস্যদের মধ্যে সিলেট-১ আসনের ড. এ কে আবদুল মোমেন (সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী), মৌলভীবাজার-২ আসনের শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল (আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক), সিলেট-৩ আসনের হাবিবুর রহমান হাবিব, সুনামগঞ্জ-১ আসনের এডভোকেট রণজিৎ সরকার (সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক)। 

 


এছাড়াও আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক (সাবেক সংসদ সদস্য), কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ ডন, মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সহসভাপতি বিজিত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা শাখার সহ সভাপতি ড. আহমদ আল কবীর ,সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান (জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান), জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম আহমদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগরের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ, এমসি কলেজ ছাত্রীগের সভাপতি দেলওয়ার হোসেন রাহী ও সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহেল আহমদ কাউন্সিলর আজাদের বাসায় গিয়ে সহানুভূতি জানান। 

 


পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের মধ্যে কাউন্সিলর আজাদের বাসায় গিয়ে যারা সহমর্মিতা জানান তাদের মধ্যে রয়েছেন- সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসরাম শোয়েব, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এ কে এম ফজলুর রহমান, সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি তাহমিন আহমদ, সিনিয়র সহসভাপতি এমদাদ হোসেন, সহসভাপতি এহতেশামুল হক চৌধুরী, পরিচালক শান্ত দেব, সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিক ও সময় টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি ইকরামুল কবীর, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ দিদার আলম নবেল, দৈনিক সিলেটের ডাকের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. ওয়াহিদুর রহমান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি ফেরদৌস চৌধুরী রুহেল, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক গোলাম জাবির চৌধুরী জাবু, জেলা ক্লাব সমিতির সভাপতি হাজী মিলাদ। 

 


এছাড়া হামলার পর কাউন্সিলর আজাদের বাসায় সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মখলিছুর রহমান কামরান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আহমদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান ও সকল ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা ছুটে যান। 

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / শাদিআচৌ / ডি.আর