বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন বিনোদন অঙ্গনের তারকারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব থাকার পাশাপাশি রাস্তায় নেমেছিলেন তারা। তবে সেই দলে ছিলেন না চঞ্চল চৌধুরী। ফলে নিয়মিত কটাক্ষের মুখে পড়েছেন সামাজিক মাধ্যমে। এখনও অব্যহত রয়েছে তা।
অনেকেই চঞ্চলকে সুবিধাবাদী বলে আখ্যা দিচ্ছেন। কেউবা ব্যবহার করছেন এর চেয়ে অপমানজনক বিশেষণ। বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুললেন চঞ্চল। ক্ষমতাসীন দলের থেকে কোনো সুবিধা নেননি বলে সাফ জানবিয়েছেন অভিনেতা। নিলে এমপি মন্ত্রী হয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল বলে জানিয়েছেন একটি সংবাদমাধ্যমকে।
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘এতটা খারাপ সময়ের ভেতর দিয়ে যাব, সেটি কল্পনাও করিনি। আমি তো সারাটা জীবন মানুষের বিনোদনের জন্য কাজ করে গেছি। রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ তো করিনি। রাজনৈতিক এক টিভির জন্য কত ডাক পেয়েছি, কখনও সাড়া দিইনি। চাইলে এমপি-মন্ত্রীও হতে পারতাম। অথচ এখন আমি সেই রাজনীতিরই শিকার। আমার ভক্তরাই আমাকে ভুল বুঝছেন। এই কষ্ট বোঝানোর সাধ্য আমার নেই।’
চঞ্চল চৌধুরীর দাবি, কিছু দুষ্কৃতকারী পরিকল্পনা করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যে মন্তব্য প্রকাশ করে তার খেপিয়ে তুলেছেন। অভিনেতা ছাত্রদের আন্দোলন সমর্থন করেননি, সেটা প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে। সব মিলিয়ে চঞ্চল চৌধুরী প্রচণ্ড অস্বস্তি আর হতাশার মধ্যে আছে।
এই হতাশা প্রথম তিনি প্রকাশ করেছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। সেখানি লেখেন, ‘আমি চঞ্চল চৌধুরী বলছি… আমার নাম ব্যবহার করে কোনো বিদেশি/ দেশি পত্র-পত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে যদি কিছু লেখা হয়, তার দায় আমার নয়। কারণ এখন পর্যন্ত আমি কোনো পত্র-পত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো বিষয়ে কোন বক্তব্য দেইনি। আমি সাধারণ একজন শিল্পী। পেশাগত কারণ ছাড়া কোনো কিছুর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার মায়ের চরম অসুস্থতাজনিত কারণে সাম্প্রতিক সময়ে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব বেশি সক্রিয় নই। দেশে শান্তি বিরাজ করুক, সকলের মঙ্গল হোক।’
ওই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে নেকে অভিনেত্রা মায়ের সুস্থতা কামনা করলেও ক্ষোভের তীর ঠিকই ছুঁড়েছেন চঞ্চলের দিকে। কেউ দিয়েছেন বয়কটের ডাক।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-৬৪৪৯