চলতি মাসেই পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সেখানে বাবর আজমদের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে টাঈগাররা। আসন্ন এই সিরিজে সাকিব আল হাসান থাকবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা থাকলেও সেটার অবসান হয়েছে গতকাল। বিসিবির ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে আছেন তিনি। মেধার ভিত্তিতেই তাকে দলে নেয়া হয়েছে বলে আজ জানিয়েছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন। একই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, চলতি বছর অনূষ্ঠিত হতে যাওয়া সব টেস্টেই খেলবেন সাকিব।
দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে আজ পাকিস্তানের উদ্দেশে রওনা হবে বাংলাদেশ দল। এর আগে গণমাধ্যমে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। গত মাসেও ছিলো, এই মাসেও আছে। এটা একটা প্রক্রিয়া। তার পারফরম্যান্সের আলোকেই যাচ্ছে। পারফরম্যান্স দিয়েই যাচ্ছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে তার রেকর্ড সব মিলিয়েই তিনি দলে আছেন।’
প্রধান নির্বাচক আরও বলেন, ‘সম্ভবত জুলাইয়ের শেষ দিকে সাকিবের সঙ্গে অনেকদিন পর আমার কথা হয়। তার খোঁজখবর নেই। ৬-৭ তারিখের দিকে আবার কথা হয়। জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় তার সঙ্গে আমাদের সভা হয়েছিলো। কারণ সামনে অনেকগুলো টেস্ট, সেখানে তাকে পাওয়া নিয়ে কথা হয়েছিল। তখন তিনি আশ্বস্ত করেছিলেন। এই পরিস্থিতি আবার আমাকে এটা জানতে হয়েছে। শুধু ফোন না, ই-মেইলও আদান প্রদান হয়েছে তিনি অ্যাভেইলেবল থাকবেন কিনা। অ্যাভেইলেবলের পাশাপাশি প্রত্যেক সিরিজের আগে যে অনুশীলন সেশন হয় সেখানে তিনি থাকবেন কিনা সেটাও জানার বিষয় ছিল।’
সবগুলো টেস্টেই সাকিব খেলতে চান জানিয়ে গাজী আশরাফ হোসেন আরও বলেন, ‘৮টি টেস্ট ম্যাচ হবে যেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দিয়ে শেষ হবে ডিসেম্বরে। সবগুলোতেই তিনি অ্যাভেইলেবল থাকবেন। এবং তিনি নিয়মিত অনুশীলন সেশনেও থাকবেন। হ্যাঁ, অনুশীলন সেশনে সব খেলোয়াড়, বিদেশি কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা ইস্যু থাকে। এটা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরাও ভেবেছি, অনেক ইস্যু ছিলো। খেলার বাইরে তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার নির্বাচন হয়েছে তার খেলার মেধার ক্ষেত্রে। তার মেধার জায়গাটাকে সমুন্নত রেখেছি। আগামীতেও আমি মনে করি মেধাটাকে গুরুত্ব দিতে পারব।’
এদিকে খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় কেউ রাজনীতিতে যোগ দিতে পারবেন কি না এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘যে সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে, আমার বিশ্বাস নিশ্চয়ই এমন কিছু প্রক্রিয়া থাকবে—কেউ জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় রাজনীতি করতে পারবেন কি না…।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল হয়তো সোহান (নুরুল হাসান) বলেছে। একই সঙ্গে আমি যোগ করতে চাই, সংস্কার দুই জায়গায়ই হতে হবে। একটা খেলোয়াড়ের জন্য যেমন, জাতীয় দলের সঙ্গে থাকাকালে তিনি রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারবেন কি না…তার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোরই বা উচিত কি না যে একটা জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে দলে নেওয়া। তাঁরা তো দেশের জন্যই কাজ করেন। ইটস নট আ ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক। আপনি শুধু খেলোয়াড়কে দোষ দিতে পারবেন না।’
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-৬৫০৫