সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ইজারাকৃত বাচাহানী জলমহাল দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যসহ প্রভাবশালী একটি চক্রের বিরুদ্ধে।
জলমহাল উদ্ধারের জন্য গত বুধবার (২ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জলমহালের ইজারাদার জিতেন্দ্র তালুকদার(৬৫)।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের দরাফপুর এলাকায় বাচাহানী নামক একটি জলমহাল রয়েছে। ওই জলমহালটি বাংলা ১৪৩১ সন থেকে আগামী ৬ বছরের জন্য প্রতি বছর ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা মূল্যে ইজারা পান পার্শ্ববর্তী ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বেখইজোড়া গ্রামের শাপলা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লি:। কিন্তু গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর এই সুযোগে জলমহালটি দখলে নেন স্থানীয় এক ইউপি সদস্যসহ একটি প্রভাবশালী চক্র।
অভিযুক্তরা হলেন- তাহিরপুর উপজেলার দুলভপুর গ্রামের ইসমত আলীর ছেলে কয়েস মিয়া (৪০), ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ও বেখইজোড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে নজরুল ইসলাম (৪০), উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের দুগনই গ্রামের মহর উদ্দিনের ছেলে সুজন মিয়া (৪০), একই গ্রামের আরব আলীর ছেলে সুয়েল মিয়া(৪৭), সাদির রহমানের ছেলে চাঁন মিয়া (৩৮) ও তাঁর ভাই তারা মিয়া(৪২), সুজন মিয়ার ছেলে মিয়ার হোসেন (২৫) ও তাঁর ভাই জিয়ার হোসেন(৩০), সুয়েল মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া(২০)।
এসময় জলমহাল দখলে ইজারাদারের লোকজন বাঁধা দিলে তাঁদেরকে মারধর করে জলমহাল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, তাঁর এলাকার বাহিরে এই জলমহাল। সে কেন জলমহাল দখল করতে যাবে।
জলমহালটি দখলের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত কয়েছ মিয়া বলেন, বাচাহানী জলমহালটি তাঁরা ইজারাদার জিতেন্দ্র তালুকদারের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকায় কিনেছেন।
এ ব্যাপারে তাঁদের কাছে লিখিত চুক্তিপত্র রয়েছে। এজন্যই তারা জলমহালটি দখল করছেন।
এই বিষয়ে মধ্যনগরে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা পার্শ্ববর্তী ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, এই বিষয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/অমিত/এসডি-৭৭২৪