হবিগঞ্জের মাধবপুর সিমা আক্তার নামে এক গার্মেন্টস কর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। 


উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের হরিণখোলা গ্রামের ইয়াকুব আলীর মেয়ে। 


 

রোববার সকালে মাধবপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। 

 

জানা যায়, উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের হরিণখোলা গ্রামের ইয়াকুব আলীর মেয়ে গার্মেন্টস কর্মী সিমা আক্তার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কড়রা গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় থেকে গার্মেন্টস চাকুরী করতেন। এ সুবাদে একই কোম্পানীতে কর্মরত দিনাজপুর এলাকার পিড়ির বন্দর উপজেলার সাইদুল ইসলামের ছেলে আসাদ উল্লাহর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিন্তু আসাদ উল্লাহর পরিবার তাদের এই প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। রোববার সকালে বাড়ির লোকজন সিমার ঘরের দরজা বন্ধ থাকতে দেখে। পরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে সিমার দেহ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা সদর হাসপাতলে নিয়ে আসলে কর্তৃবর‌্যত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। 

 

চৌমুহনী ইউনিয়নের হরিণখোলা গ্রামের ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন জানান, হরিণখোলা গ্রামের ইয়াকুব আলীর মেয়ে সিমা আক্তার নোয়াপাড়া একটি গার্মেন্টসে চাকুরি করত। নোয়াপাড়া কড়রা গ্রামে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকত। সিমার সঙ্গে দিনাজপুর এলাকার সাইদুল ইসলামের ছেলে আসাদ উল্লাহ গালিব এর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের প্রেমের সম্পর্ক আসাদ উল্লাহর পরিবারের মেনে নিতে পারছিল না।

 

থানার অফিসার ইনর্চাজ আব্দুর রাজ্জাক জানান, সীমার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/এসসি/এসডি-০২