চট্টগ্রাম টেস্টে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে ছিলেন লিটন, তবে খুব কাছে গিয়েও তা পূরণ করতে পারেননি তিনি। ঢাকা টেস্টে সেই ভুল আর করেননি লিটন, পেয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতকের দেখা। মাইলফলকের দেখা পেতে ১৪৯ বল খেলেছেন লিটন, যেখানে ছিল ১৩টি চারের মার।

 


এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২২৩ রান। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে এরই মধ্যে ১৯৯ রান যোগ করে ফেলেছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন। ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে মুশফিক খেলছেন ৮৭ রান নিয়ে, লিটন অপরাজিত ১১৫ রানে।


 
২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে পথ ভোলা বাংলাদেশকে আশার আলো দেখিয়েছেন লিটন-মুশফিক। দুজনের জুটিতে যুক্ত হল আরো একটি রেকর্ড। বাংলাদেশের অষ্টম জুটি হিসেবে হাজার রান তুললেন এই দুজন। ১৬ ইনিংসেই ৪টি শতরানের জুটি গড়ে ফেলেছেন এই দুজন। বাংলাদেশের হয়ে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। হাবিবুল বাশার ও জাভেদ ওমর রেকর্ড ৫ বার শতরানের জুটি গড়েছেন ৩২ ইনিংসে।

 

এর আগে ঢাকা টেস্টে রীতিমত দুঃস্বপ্নের সূচনা হয়েছে বাংলাদেশের। টস জিতে অধিনায়ক মুমিনুল বলেছিলেন, 'ম্যাচের শুরুর দিকে উইকেট ব্যাটিং বান্ধব থাকবে। পরের দিকে কঠিন হয়ে উঠবে ব্যাটিং।' কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমে সেটির প্রতিফলন করতে পারলেন না বাংলাদেশের ব্যাটাররা। লঙ্কানদের বোলিং তোপে একের পর এক উইকেট হারায় তারা। ২৪ রান তুলতেই বাংলাদেশ হারায় ইনিংসের অর্ধেকটা। জয়, তামিম ও সাকিব খুলতে পারেননি রানের খাতা। বাকিদুজন দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি।

 

টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদুল হাসান জয়। পরের ওভারে আশিথা ফার্নান্দোর বলে জয়াবিক্রমার ক্যাচ হয়ে ফেরেন তামিম। টেস্ট ক্রিকেটে এটি তামিমের দশম ডাক। দুজনেই ফিরেছেন শূন্য রানে। অধিনায়ক মুমিনুল প্রতিরোধ গড়ার আভাস দিলেও তিনি ফিরেছেন মাত্র ৯ রানে। এই নিয়ে টানা ৬ ইনিংসে তিনি বিদায় নিলেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে। সবশেষ ১৪ ইনিংসের ১১টিতেই তিনি স্পর্শ করতে পারলেন না ১০। 

 

৮ রান করা নাজমুল হোসেন শান্ত হন বোল্ড, বোলার ছিলেন রাজিথা। এরপর তো সাকিব এলেন আর গেলেন। ১৩ বছরের বেশি সময় পর টেস্টে প্রথম বলে আউট হলেন সাকিব আল হাসান। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১১ ইনিংসে এটি তার পঞ্চম ডাক, দ্বিতীয় গোল্ডেন ডাক।

 

বাংলাদেশ একাদশ: 
তামিম ইকবাল খান, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, তাইজুল ইসরাম, মোসাদ্দেক হোসেন, সৈয়দ খালেদ আহমেদ এবং এবাদত হোসেন।

 

শ্রীলঙ্কা একাদশ: 
দিমুথ করুনারত্নে (অধিনায়ক), ওশাদা ফার্নান্দো, কুশল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দীনেশ চান্দিমাল, নিরোশান ডিকওয়েলা, রমেশ মেন্ডিস, প্রবীণ জয়াভিক্রমা, অসিথা ফার্নান্দো এবং কাসুন রাজিথা।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-১৬


সূত্র : সমকাল