বন্যার পানি নেমে যাবার পর সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ধীরে ধীরে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হচ্ছে। গেল সপ্তাহে আকস্মিক বন্যায় নগরীর বাসাবাড়ির পানির ট্যাঙ্ক ডুবে যাওয়ায় পানি সরবরাহ বন্ধ ছিল। 

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) নগরীতে পানি সরবরাহ করা শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নগরীতে পূর্বের মত পানি সরবরাহ করা হবে, এমনটাই জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পানি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান।


আকস্মিক বন্যার প্রকোপে সিলেট নগরীতে ৭-৮ দিন পানি সরবরাহ বন্ধ ছিলো। অনেকের বাসাবাড়ির পানি সংরক্ষণের ট্যাংক নিমজ্জিত ছিল বন্যার পানিতে। এছাড়াও পানি সরবরাহের পাইপলাইন বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হবার কারণে বিশুদ্ধ পানি পাননি গ্রাহকেরা। এসময় সুপেয় পানির জন্যে মানুষকে বোতলজাত পানি কিনে ব্যবহার করতে হয়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে দেখা গেছে। সিসিকের পক্ষ থেকেও ট্যাংকে করে সরবরাহ করা হয়েছে সুপেয় পানি।

সিসিক-এর পানি শাখার সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, বিভিন্ন জায়গায় পানির লাইন ছিদ্র হয়ে যাবার কারণে বাসা-বাড়িতে ময়লা পানি বের হচ্ছে। নগরীর শাহি ঈদগাহ এলাকা থেকে একজন গ্রাহক পাইপ দিয়ে নোংরা পানি আসার অভিযোগ দেন। 

জানা যায়, নালার ভেতরে প্রবাহিত পাইপ ছিদ্র হয়ে ময়লা পানি বাসায় চলে যাচ্ছে। সিসিকের সরবরাহ করা পানিতে কোন সমস্যা নেই।

সিলেট সিটি কর্পোরেশন সূত্র থেকে আরও জানা গেছে, বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় পানি সরবরাহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গ্রাহকেরা নিজ নিজ বাসা-বাড়ির পানির ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করে রাখার জন্য বলা হয়েছে।

তবে এখনো সিসিকের সকল ওয়ার্ডে পানি সরবরাহ শুরু হয়নি। ধীরে ধীরে সকল এলাকায় পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নগরীর বাগবাড়ি এলাকার কয়েকজন গ্রাহক পানি সরবরাহ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। ওই এলাকার বাসিন্দা সালেহ আহমেদ শাহিন জানান, মাঝেমাঝে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায় না।

পানি সংকটের ব্যাপারে সিসিকের নির্বাহি প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান জানান, বিদ্যুত সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটলে পানি সরবরাহ কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। এছাড়া আর কোনো সমস্যা নেই।

সহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নগরীর বালুচর থেকে মিরাবাজার পর্যন্ত ১২ ইঞ্চি সংযোগের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে অনেকের পানির সমস্যা আর থাকবে না।

বাদাঘাটে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে পানি সরবরাহ শুরু হলে সিলেট নগরী এবং সিসিক-এর বর্ধিত ওয়ার্ডগুলোতে গ্রাহকদের জন্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা সহজতর হবে। এমন প্রত্যাশা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পানি শাখার প্রকৌশলীবৃন্দের।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/টিএস/এসডি-৩৬