সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ গেছে ৪ জনের। আজ বৃহস্পতিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে পাঁচটায় নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদ মেশিনঘর এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিয়ন্ত্রণ হারানো কাভার্ডভ্যানের চাপায় ওই চারজন নিহত হন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত আরও ছয়জন। সবাই সবজি বিক্রেতা ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।


নিহতেরা হলেন- উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের ফজর আলীর ছেলে মো. ফারুক মিয়া (৫০), মাহমুদাবাদ মিস্ত্রি বাড়ির তারেব মিয়ার ছেলে মাসাকিন (৪৫), মাহমুদাবাদ টানপাড়া এলাকার সেন্টু মিয়ার ছেলে মো. রিপন মিয়া (৩৫) ও মাহমুদাবাদ  এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে শাজাহান মিয়া (৫০)। স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য পাঠান। তাদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানান পুলিশ।

ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় আজও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে সবজির হাট বসেছিল। আজ ভোরে ভৈরব থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা মুখী জননী কুরিয়ার সার্ভিসের একটি কাভার্ডভ্যান মাহমুদাবাদ মেশিনঘর এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিকে চলে যায়। এসময় রাস্তার পাশে থাকা সবজির হাটে ঢুকে পড়ে কাভার্ডভ্যানটি। এতে সবজি বাজারে থাকা দুজন বিক্রেতা ঘটনাস্থলেই মারা যান, আরো দুজন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।

ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ আজিজুল হক বলেন, দু’টি কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিকে চলে যায়। আমরা ভোর আনুমানিক সাড়ে পাঁচটায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থল এসে মরদেহ উদ্ধার করি।

ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ পরিদর্শক ওসি মোজাম্মেল হোসেন জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চালক ঘুমিয়ে পাড়ার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে