নায়িকাদের অন্যতম যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হয় তার সৌন্দর্য। যে নায়িকা যত বেশি সুন্দরী, তার ভক্ত-অনুরাগী তত বেশি। কাজের ক্ষেত্রেও পান অগ্রাধিকার। কিন্তু বলিউড অভিনেত্রী গওহর খানের ক্ষেত্রে ঘটল ব্যতিক্রম। ‘বেশি সুন্দরী’ হওয়ার কারণে তিনি কাজ থেকে বাদ পড়েছেন।

 


সিনেমার নাম ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’। ড্যানি বয়েল পরিচালিত এই সিনেমা ৮টি বিভাগে অস্কার জিতেছিল। ফলে ইতিহাসের অন্যতম সেরা সিনেমা হিসেবে উচ্চারিত হয় এর নাম।

 

এই ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’ সিনেমায় কাজের জন্য অডিশন দিয়েছিলেন গওহর খান। পাঁচটি ধাপে অডিশন পার করে এগিয়েও আসেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বাদ দেওয়া হয়। কারণ হিসেবে জানানো হয়, তিনি দেখতে বেশি সুন্দরী।

 

ওই ঘটনা নিয়ে আফসোসের শেষ নেই গওহরের। তিনি বলেন, “আমার জীবনে সবচেয়ে বড় একটি প্রজেক্ট বেশি সুন্দর হওয়ার কারণে হারাতে হয়েছিল। এটি ছিল ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’। ড্যানি বয়েলের সঙ্গে দেখা করেছিলাম এবং অডিশনের পাঁচটি পর্বও পার করেছি। পঞ্চম রাউন্ডে ড্যানি বলেছিলেন, ‘তুমি চমৎকার অভিনয়শিল্পী। তুমি কি সত্যিই ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছো?’ সেই সময় আমার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। আমি বলেছিলাম, ভারতেই প্রশিক্ষণ নিয়েছি। তিনি বলেন, ‘তোমার কথা শুনে ভারতের মনে হয় না। এটি কীভাবে আয়ত্ত করেছো?’ আমি বলেছিলাম, স্যার, আমি জানি না। চেষ্টা করেছি এবং প্রতিদিনই এটি চর্চা করি। তিনি বলেছিলেন, ‘তুমি খুব চমৎকার অভিনেত্রী কিন্তু কোনো এক কারণে তোমাকে এতে নিতে পারছি না। আমাকে তিনটি শ্রেণির বয়স মেলাতে হবে। তোমার চেহারার জন্য তোমাকে নিতে পারব না।”

 

উল্লেখ্য, ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’ মুক্তি পেয়েছিল ২০০৮ সালে। এতে কাজ করতে পারলে এটিই হতো গওহর খানের প্রথম সিনেমা। তবে পরের বছর ‘রকেট সিং’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় অভিনেত্রীর। এরপর তিনি ‘ইশাকজাদে’, ‘বদ্রিনাথ কি দুলহানিয়া’ ও ‘বেগমজান’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-৩৭
 


সূত্র : ঢাকাপোষ্ট