মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর চালানো গণহত্যার ঘটনায় আর্জেন্টিনার বুয়েনাস আয়ার্সের একটি আদালতে হওয়া মামলায় সাক্ষ্য দেবেন রোহিঙ্গা নারীরা। দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা নারীদের একটি দল আর্জেন্টিনা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 


বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এসব রোহিঙ্গা এর আগেও ওই আদালতে অনলাইনে যৌন নির্যাতনের সাক্ষ্য দিয়েছেন।

 

‘সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে এসব নারী ও মেয়েদের আন্তর্জাতিক আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। শুনানির জন্য তাদের কক্সবাজার থেকে বুয়েনাস আয়ার্সের আদালতে নেওয়া হবে। তারা প্রথমবারের মতো উপস্থিত হয়ে উত্তর রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর গণহত্যার বর্ণনা দেবেন।’ বলেন বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন ইউকের (বিআরওইউকে) প্রেসিডেন্ট তুন খিন।

 

২০২১ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিআরওইউকে। পরের মাসে আর্জেন্টিনার ফেডারেল আদালত মামলাটি গ্রহণ করেন। মিয়ানমারের নেতাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও মামলার বিচার চলছে।

 

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির রাখাইন রাজ্যে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যা চালায়। ৩৭০টিরও বেশি রোহিঙ্গা গ্রামে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করে সেনারা।

 

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে গণহত্যার শামিল বলছে জাতিসংঘ। এই গণহত্যা থেকে বাঁচতে সাত লাখ ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ঢাটা/ইআ