সিলেট নগরীর বন্দরবাবাজারে পুলিশি নির্যাতনে মারা যাওয়া রায়হান আহমদ (৩৪) হত্যা মামলার প্রধান আসামি আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে তার জামিন আবেদন উত্থাপিত হলে আদালতের বিচারক তা খারিজ করেন।

 


আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এম মাসুদ রানা আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কেএম মাসুদ রুমী।

 

গত ১৮ এপ্রিল সিলেটে পুলিশের হেফাজতে রায়হান আহমদ হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুর রহিমের আদালতে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। 

 

২০২০ সালের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। পরে ১১ অক্টোবর রায়হানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রীর করা মামলা করে।

 

এ ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে একই বছরের ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রধান অভিযুক্ত আকবরকে ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়।


 
পরে ২০২১ সালের ৫ মে এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পিবিআই। এতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়। অন্যরা হলেন- সহকারী উপ-পরিদর্শক আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), এসআই মো. হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কথিত সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)। এরমধ্যে নোমান ছাড়া সবাইও কারাগারে রয়েছেন। আসামি আবদুল্লাহ আল নোমান পলাতক রয়েছেন। এখন মামলাটি সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/জেপি