সরকার ঘোষিত সংশোধিত ‘এসআরও’ অনুযায়ী ভ্যাট না দিয়ে খালাস করা বিটুমিনের ভ্যাট আদায়ের শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। ‘এসআরও’ জারির পর খালাস হওয়া সাতটি চালানের ভ্যাট আদায়ের জন্য এরই মধ্যে তিন আমদানীকারককে নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশ পেয়ে এক আমদানীকারক খালাস হওয়া চালানের বিপরীতে প্রায় ৪৩ লাখ টাকা আদায় করেছে কাস্টমস।

 
জানা যায়, এ বছরের ২৮ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিটুমিন আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত করে সংশোধিত ‘এসআরও’ জারি করে। যা ২৯ জুন থেকে কার্যকর করার নির্দেশনা দেয়া হয়। এসআরও জারির মাধ্যমে আমদানি করা বিটুমিনের বিপরীতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ‘অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড’ সিস্টেমে কারিগরি জটিলতার কারণে সংযোজিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত না থাকায় আরোপিত ভ্যাট ছাড়াই শুল্কায়ন ও খালাস করা হয়েছে তিন আমদানীকারকের ৭টি চালান। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে সংশোধিত এসআরও’র ১৫ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত না হওয়ার বিষয়টা নজরে আসে কাস্টমসের। এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। তড়িৎ গতিতে সিস্টেমে সংশোধিত এসআরও অনুযায়ী ভ্যাট যুক্ত করা হয়। খালাস হওয়া সাতটি চালানের আমদানীকারককে ভ্যাট পরিশোধের জন্য নোটিশ ইস্যু করা হয়। নোটিশ পেয়ে এরই মধ্যে এক আমদানীকারক প্রায় ৪৩ লাখ টাকা ভ্যাট পরিশোধ করে।
 


চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপ-কমিশনার রোখশানা খাতুন বলেন, ‘কারিগরি ত্রুটির কারণে বিটুমিন আমদানিতে সংশোধিত এসআরও অনুযায়ী ভ্যাট সংযুক্ত হয়নি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ‘অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড’ সিস্টেমে। এসআরও জারির পর তিন আমদানীকারকের সাতটি চালান খালাস হয়েছে আগের নিয়মে। বিষয়টি নজরে আসার পর বিটুমিন খালাস করা আমদানীকারকদের নোটিশ দিয়েছি। নোটিশ পেয়ে এক আমদানীকারক এরই মধ্যে প্রায় ৪৩ লাখ টাকা ভ্যাট পরিশোধ করেছে। নোটিশ প্রাপ্ত বাকি দুই আমদানীকারক শুনানির পর ভ্যাট পরিশোধ করবে। এক্ষেত্রে ভ্যাট অনাদায়ী থাকার সুযোগ নেই।’


নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাস্টমসের এক কর্মকর্তা বলেন, এসআরও অনুযায়ী বিটুমিন আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেয়া বাধ্যতামূলক। কোন প্রতিষ্ঠান যদি ২৯ জুনের পর কাস্টমস হাউজে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে তা হলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ‘অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড’ সিস্টেমে কারিগরি জটিলতার কারণে ওই সময়ের পর যারা ভ্যাট না দিয়ে চালান খালাস করেছে তাদের অবশ্যই ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে। ভ্যাট পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাদের অন্য চালান যাতে অ্যাসেসমেন্ট না হয় সেই বিষয়ে মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


সূত্র জানায়- গত ২৯ জুন থেকে তিনটি আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে বিটুমিনের চালান খালাসের জন্য বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। প্রতিষ্ঠানগুলো হল- কামাল এন্ড ব্রাদার্স, ঢাকা কনক্রিট এবং ডিন এন্ড কোম্পানি। তারা সংশোধিত এসআরও অনুযায়ী শুল্কায়ন না করেই পুরনো নিয়মে বিটুমিন খালাস নেয়।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/জেপি