সিলেট নগরের একাধিক স্থানে প্রতিনিয়ত গ্যাস বের হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হচ্ছেন জনসাধারণ। যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ইতোপূর্বে একাধিকার সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পক্ষ থেকে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও ক্ষতিগ্রস্ত গ্যাস লিকেজ স্থান মেরামত করেনি। ফলে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস অপচয় হচ্ছে। 

সর্বশেষ গত ১ আগস্ট সিলেট নগরের মির্জাজাঙ্গাল রামের দীঘিরপাড় এলাকার রাস্তার পাশে গ্যাসের লাইন কয়েকটি স্থানে প্রতিনিয়ত গ্যাস বের হচ্ছে এমনটাই জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষকে পুনরায় জানায় সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি।


স্থানীয়রা জানান, বন্যার পর থেকে সিলেট নগরের মির্জাজাঙ্গাল রামের দীঘিরপাড় এলাকার রাস্তার পাশে কয়েকটি স্থানে গ্যাসের লাইন লিকেজ হতে দেখেছেন। প্রায় তিনমাস হলেও সেগুলো সংস্কার করা হয়নি। এমনকি কখনো জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ লিকেজকৃত লাইন পরিদর্শনে আসেন নি। ফলে প্রতিনিয়ত গ্যাস বের হয়ে অপচয় হচ্ছে। এমতাবস্থায় স্থানীয়রা আতঙ্কে রয়েছেন। কখন কি ঘটে যায় সে নিয়ে দুচিন্তায় রয়েছেন। এমন পরিস্থিতি দুইবার জালালাবাদ গ্যাসের লিকেজ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয় সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি। চেম্বার দুইবার চিঠি দিলেও এখনো লিকেজ হওয়া লাইন সংস্কার না করায় গ্যাস কর্তৃপক্ষের গাফিলতি দেখছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে সিলেট চেম্বার অব কর্মাসের সচিব মো. গোলাম আক্তার ফারুক বলেন- আমরা স্থানীয়দের কথা ও দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করার স্বার্থে জালালাবাদ গ্যাসকে দুই দুইবার চিঠি দেই। গত ২০ জুন ও ১ আগস্ট আমরা তাদের চিঠি দেই। আমরা তাদের চিঠি দিলেও কিন্তু তারা বিষয়টি আমলে নেন নি। এতে আমরা হতবাক। 

তাদের গাফিলতির কারণে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়ে তিনি বলেন- যতো দ্রুত সম্ভব লিকেজকৃত স্থানগুলো সংস্কারের জরুরী উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। নতুবা যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে জালালাবাদ গ্যাস টি এন্ড ডি সিস্টেম লিমিটেড, আঞ্চলিক বিতরণ কার্যালয়, সিলেট উত্তর এর ব্যবস্থাপক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন- এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। খোঁজখবর নিয়ে সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছি।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/জেপি