এমসি কলেজ নতুন ছাত্রী হোস্টেল। ইনসেটে শ্যামল দাস।

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রী স্মৃতি রানী দাসের আত্মহত্যার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এক যুবকের ‘ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার’ হয়ে ওই পথ বেছে নিয়ছিলেন স্মৃতি। এ ঘটনায় ‘ব্ল্যাকমেইলার’ যুবককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আদালতে। পরে তাকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।

স্মৃতি রানী দাস (২০) কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের সাপান্তার যুগল কিশোর দাাসের মেয়ে। তিনি এমসি কলেজে ইংরেজি বিভাগে অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।


চলতি বছরের ২৫ মে এমসি কলেজের নতুন হোস্টেলের চারতলার ৪০৩নং কক্ষ থেকে স্মৃতি রানী দাসের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি হোস্টেলের তৃতীয় তলায় ৩০৭নং কক্ষে থাকতেন। স্মৃতি আত্মহত্যা করেছিলেন বলে তখন জানিয়েছিল পুলিশ।

স্মৃতি রানী দাসের আত্মহত্যার ঘটনায় পেনাল কোডের ৩০৬/৩৪ ধারায় শাহপরান থানায় মামলা (নং১৫/২৫/৫/২২) করেছিলেন তার বাবা যুগল কিশোর।

এ মামলায় গ্রেফতারকৃত যুবক শ্যামল দাস (২১) হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মশাকলি গ্রামের সুধাংশু দাসের ছেলে। গত পরশু নগরীর জালালাবাদ আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে শাহপরান থানা পুলিশ। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে হাজির করা হয়।

সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের সিলেটভিউকে বলেন, ‘ঘটনার পর স্মৃতির মোবাইল ফোন জব্ধ করা হয়েছিল। ফোন থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে কাজ শুরু করে পুলিশ।’

তিনি বলেন, “তথ্যের ভিত্তিতে গত বুধবার শ্যামল দাসকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, স্মৃতি রানী দাসকে তিনি কল দিতেন, উত্যক্ত করতেন। ওই ছাত্রীর কোনো একটি ‘ডকুমেন্ট’ পেয়ে সেটি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন শ্যামল দাস। স্মৃতির কাছে টাকাও চাইতেন তিনি। বিকাশে টাকাও নিয়েছিলেন।”

এসএমপি কর্মকর্তা আশরাফ উল্যাহ তাহের সিলেটভিউকে আরও বলেন, ‘শ্যামল দাসকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত।’

নগরীর শাহপরান (রহ.) থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, ‘স্মৃতি রানী দাসের ম্যাসেঞ্জার হ্যাক করেছিলেন শ্যামল দাস। এর মাধ্যমে স্মৃতির ব্যক্তিগত ছবি পেয়ে যান তিনি।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে