মৌলভীবাজারের বড়লেখায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস দায়সারাভাবে পালন করায় চার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে শোকজ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বড়লেখা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মীর আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাদের এই শোকজ করা হয়। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাদেরকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শোকজ প্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার ছোটলেখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রতাপ কুমার দত্ত, বিওসি কেছরিগুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর মুহিবুর রহমান, সোনাতুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামিল আহমদ ও বড়লেখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনজিত কুমার দাস।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশের মতো বড়লেখা উপজেলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ১৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধানদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানে ব্যানার করে অনুষ্ঠান ও শোক দিবস পালনের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ বাবদ ২ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্তে¡ও উপজেলার ছোটলেখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিওসি কেছরিগুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনাতুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বড়লেখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দায়সারাভাবে আয়োজন করে। এ নিয়ে সামাাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনা শুরু হয়। এতে শিক্ষকসহ বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এরপর বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক অফিসের দৃষ্টিগোচর হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের শোকজ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিওসি কেছরিগুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর মুহিবুর রহমান বলেন, শহর থেকে আমার বিদ্যালয় অনেক দূরে। অনুষ্ঠানের দিন সকালে দোকান বন্ধ থাকায় ব্যানার নিতে পারিনি। তবে অনুষ্ঠান যথাযথভাবে করেছি।
ছোটলেখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রতাপ কুমার দত্তের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অনুষ্ঠান যথাযথভাবে করেছি। যদি আপনার মনে হয় অনুষ্ঠান হয়নি, তা হলে আমার বিরুদ্ধে পেপারে নিউজ করে দেন।
চার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়লেখা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মীর আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্তে¡ও চার প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়সারাভাবে শোক দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। তাদের এই কার্যকলাপ দায়িত্বে চরম অবহেলার সামিল। দায়সারাভাবে অনুষ্ঠান করার বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হলে ইউএনও স্যার প্রতিষ্ঠান প্রধানদের শোকজ করতে নির্দেশ দেন। এরপর তাদের শোকজ করা হয়। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাদেরকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/লাভলু/এসডি-২০