হবিগঞ্জে জলমহাল থেকে মাছধরাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 


বৃহস্পতিবার সকালে ৬ সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের টঙ্গিরঘাট ও রামনগর গ্রামবাসির মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহযোগীতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। 

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মর্তুজ আলী জানান, টঙ্গিরঘাট এলাকার সমশেদ আলীসহ তার লোকজন গ্রামের পার্শ্ববর্তী বাগাডলি নামক একটি জলমহাল ইজারা নিয়ে ফিসিং করে আসছিল। ভোরে রামনগর গ্রামের আফজল মিয়াসহ তাদের লোকজন ওই জলমহাল থেকে মাছ ধরতে যায়। এসময় মহালে থাকা পাহারাদার সেবলু মিয়া ও বজলু মিয়া তাদেরকে বাধা প্রদান করে। এরই প্রেক্ষিতে আফজলসহ তাদের লোকজন উত্তেজিত হয়ে সেবলু মিয়া ও বজলু মিয়াকে আটকে রেখে মারধোর করে। বিষয়টি জানতে পেরে সমশেদ আলীসহ তাদের লোকজন জলমহালে গেলে উভয় পক্ষের মধ্য সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তারা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে কয়েক দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।  

 

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে সেবলু মিয়া, জমশেদ আলী, সমশেদ আলী, কিতাব আলী, আজিজুর রহমান, ইয়াসিন মিয়া, নানু মিয়া, মনিরুল হক, আলামিন, ইমন আলী, কালাম মিয়া, সাইদুর রহমান, আব্দুল কাদির, আয়াত আলী, এনামুল হক, কুদ্দুছ আলী, এখলাছ মিয়া, আলা উদ্দিনসহ অন্তত ৩০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ। পরে সদর থানার এসআই ওয়াহেদ গাজীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। 

 

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) গোলাম মর্তুজা জানান, আমিসহ সদর থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে রয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/জাকির/মাহি