নতুন করে শনিবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুর পর পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার টিমকে বলেছেন, তাকে যেকোনো সময় আটক করতে পারে ক্ষমতাসীন জোট সরকার। কারণ সরকারে গণতন্ত্র এবং নৈতিকতা উভয়ই ঘাটতি আছে।

বিচারক জেবা চৌধুরীকে হুমকি দেয়ার মামলায় শনিবার তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এরপর একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে তিনি ওইদিনই সাক্ষাৎকার দেন। ইমরান বলেন, ক্ষমতাসীন বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল চুরি করা অর্থ ফেরত আনা। তারা সাড়ে তিন বছরের একটি এনআরও অর্ডার নিয়ে কাজ করছে। প্রেসিডেন্ট হাউজের মিটিং সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করা হলে বলেন, আমি মিথ্যে কথাও বলবো না। আবার আমি সত্যও বলতে পারবো না। 


তিনি সব সময় বিশ্বাস করেন সবকিছু আলোচনা হওয়া উচিত। ইমরান খান বলেন, তার দল পিটিআইয়ের একটিই লক্ষ্য। তা হলো, দেশকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করা এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করা।

নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেয়া সম্পর্কে ইমরান খান বলেন, আমার টিমকে বলে রেখেছি, যেকোনো সময় আমাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। তারা আমার কাছ থেকে এনআরও চেয়েছিল। তাই তারা পিটিআই সরকারের ফিন্যান্সিয়াল একশন টাস্ক ফোর্সকে ব্লাকমেইল করেছে। প্রথমে তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল নির্বাচন করা। আর এখন তারা এ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। পিডিএম নেতৃত্ব চায় আমাকে অযোগ্য ঘোষণার পর নির্বাচন করতে। কিন্তু তাদের মুখ থেকে এমন সব কথা বেরিয়ে আসে এবং এমন সব কথা বলে বসেন- যা আমাদের পক্ষেই যায়। 
সাক্ষাৎকারে পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং পিএমএলএনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজের নাম উল্লেখ করে বলেন, তারা কখনো মাঠপর্যায়ে কাজ করেননি। তাদের রাজনৈতিক সংগ্রামের অভিজ্ঞতা নেই। তিনি এই দুই নেতাকে নিয়ে মজা করেন। বলেন, এই দুই ‘ইডিয়টকে’ ক্ষমতায় রেখে কিভাবে পিপিপি এবং পিএমএলএন আশা করতে পারে এমন একজন ব্যক্তির সঙ্গে লড়াই করতে, যার আছে ২৬ বছরের লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা এবং দেশে দুই দলীয় ব্যবস্থা যিনি ভেঙে দিয়েছেন। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেছেন, ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হবে না।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/মাজ/ইআ-০৮