যুক্তরাজ্যে স্বল্প-দক্ষ অভিবাসী কর্মীর সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে গেছে এবং বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যাও চড়া, যারা অনেক ক্ষেত্রে সঙ্গে করে ডিপেন্ডেট (নির্ভরশীল ব্যক্তি বা পরিবারের সদস্য) নিয়ে আসেন। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এ ধরনের অভিবাসীদের ভূমিকা খুব কম। তাই যুক্তরাজ্যে স্বল্প-দক্ষ কর্মীর সংখ্যা কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ সরকারের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান।

 


শনিবার (১ অক্টোবর) ব্রিটিশ দৈনিক দ্য সানকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেক কম দক্ষ কর্মী এ দেশে আসছে। এখানে অনেক বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী আসছে এবং আমরা সত্যিই অনেক বেশি ডিপেন্ডেট পেয়েছি।

 

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা স্টুডেন্ট ভিসায় আসছে। কিন্তু সঙ্গে তারা পরিবারের সদস্যদেরও নিয়ে আসছে, যারা তাদের স্টুডেন্ট ভিসার ওপর ভর করে চলতে পারে।

 

ব্রেভারম্যান বলেন, যেসব লোক এখানে আসছে, তারা খুব একটা কাজ করছে না বা করলে স্বল্প দক্ষতার চাকরি করছে। এরা আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখছে না।

 

তিনি বলেন, আমরা উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন লোক চাই, আমরা চাই প্রযুক্তিগত যোগ্যতা সম্পন্ন লোক... আমরা সস্তা বিদেশি শ্রমের অবিরত স্রোত চাই না।

 

সম্প্রতি ক্ষমতায় বসা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে প্রয়োজনে অভিবাসী কর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর পক্ষে। তার সরকারের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেংও গত ২৩ সেপ্টেম্বর বলেছেন, প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে অভিবাসন নীতি পর্যালোচনা করতে চাইছে সরকার। তবে ব্রেভারম্যান দাবি করেছেন, ট্রাস প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সব মন্ত্রীই অভিবাসী কমাতে চান।

 

যুক্তরাজ্যে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে একটি ভিসা স্পন্সর করতে হলে নিয়োগদাতাকে বেশিরভাগ কর্মীর জন্য বছরে কমপক্ষে ২৫ হাজার পাউন্ড পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে কৃষি, আতিথেয়তা, উত্পাদনসহ বিভিন্ন খাতে স্বল্প মজুরির শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে।

 

ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্যে ইইউ কর্মীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে গেছে, তবে বেড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের কর্মীর সংখ্যা, বিশেষ করে ভারতীয়। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্সের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত এক বছরে যুক্তরাজ্যে অভিবাসী প্রবেশ করেছে মোট ২ লাখ ৩৯ হাজার জন।

 

এদিন অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা সীমিত করতে প্রয়োজনীয় আইনি সংস্কার আনার কথাও জানিয়েছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-০৯


সূত্র : জাগোনিউজ