দুবাই থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা মো. সরোয়ার হোসেন (২৭) নামের এক যাত্রীর কাছ থেকে দুটি সোনার বার ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এবার সেই যাত্রীর কাপড় পুড়িয়ে আরও ৫২৯ গ্রাম সোনা পাওয়া গেছে। এনিয়ে ওই যাত্রীর কাছ থেকে মোট ৮৬৩ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা সালেহ আহমদ। তিনি জানান- বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে আবুধাবি থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০২ সরাসরি ফ্লাইটে ওসমানী বিমানবন্দরে আসেন সরোয়ার হোসেন। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায়।
তিনি জানান- এ ঘটনায় সিলেট বিমানবন্দর থানায় মামলা করে সরোয়ার হোসেনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বিমানবন্দর কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল জলিল বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- ফ্লাইট পৌঁছানোর প্রায় এক ঘণ্টা পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তল্লাশি চালিয়ে সরোয়ার হোসেনের কাছ থেকে দুটি সোনার বার ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে। বার দুটির ওজন ২৩৪ গ্রাম এবং অলংকারের ওজন ১০০ গ্রাম। এরপর ওই যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কাস্টমসের কর্মকর্তারা। তার বিভিন্ন সামগ্রী এবং পরিহিত কাপড় যন্ত্রের মাধ্যমে স্ক্যান করেও কিছু পাওয়া যাচ্ছিল না।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়- ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ওই যাত্রী স্বীকার করেন আবুধাবিতে উড়োজাহাজে ওঠার আগে অন্তর্বাস ও জ্যাকেট পরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তার অন্তর্বাস ও জ্যাকেট গলানো অবস্থায় সোনার উপস্থিতি পায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। যদিও সেগুলো বিমানবন্দরে স্থাপিত স্ক্যানারে কোনো ধাতব বস্তুর উপস্থিতি পায়নি। পরে সেগুলো সিলেটে জিন্দাবাজার এলাকার কাস্টমস কার্যালয়ে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পোড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত যাত্রীর কাপড়গুলো পুড়িয়ে সেখান থেকে আরও ৫২৯ গ্রাম সোনা পাওয়া যায়। এ নিয়ে ওই যাত্রীর কাছ থেকে ৮৬৩ গ্রাম সোনা পাওয়া গেছে।
সিলেট বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. মাঈনুল জাকির বলেন- শুক্রবার সকালে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই যুবককে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/মুন্না