সিলেট নগরীর পাঠানটুলাস্থ পল্লবী আবাসিক এলাকার সি-২৫নং বাসার একটি কক্ষ থেকে স্বামী ও স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে তাদের লাশ। আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতরা হলেন সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাগ ইউনিয়নের রাজাবাজ গ্রামের নির্ণয় দাসের মেয়ে শিপা দাস ও একই গ্রামের রুকুনি তালুকাদেরর ছেলে রিপন তালুকদার।


তারা পল্লবী আবাসিক এলাকার ধীরেন্দ্র দের ওই বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন। এই দম্পতির দুই বছর বয়সী একটি শিশু সন্তান রয়েছে। রিপন একটি বিস্কুট কোম্পানিতে সেলসম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এই দম্পতি ওই বাসায় প্রায় সাত মাস ধরে বসবাস করছিলেন।

প্রতিবেশী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯টার দিকে ওই ঘরের মধ্যে শিশুর কান্না শুনতে পান প্রতিবেশীরা। বাইরে থেকে তখন ডাকাডাকি করে রিপন ও শিপার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বিষয়টি জানানো হয় জালালাবাদ থানা পুলিশকে।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে পৃথক কক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

ওই ঘর থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে লিখা আছে, ‘আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছি, তোমরা আমার সন্তানকে খেয়াল রেখো।’

তবে চিরকুটটি শিপা নাকি রিপন লিখেছেন, তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশে  অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গৌতম দেব ও জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান সিলেটভিউকে বলেন, ‘সকাল ১১টার দিকে আমরা খবর পাই। তারপর ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন ময়নাতদন্ত হবে।’

তিনি বলেন, ‘ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের তথ্য জানা গেছে।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে