প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় জনসাধারণের মানুষের সবচেয়ে কাছের সেবাদান প্রতিষ্ঠান। কিন্তু হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ৪টি এমন সেবাদন প্রতিষ্ঠানের ভবনের জরাজীর্ণ অবস্থা। দীর্ঘদিন ধরে এই চারটি ইউনিয়ন পরিষদের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কার্যক্রম চললেও নজর নেই স্থানীয় সংসদ সদস্য কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

 


মাধবপুর উপজেলায় রয়েছে ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ। এর মধ্যে ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে কমপ্লেক্স হলেও ৪টির ভবন রয়ে গেছে জরাজীর্ণ। এখনও ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন ভবনে কার্যক্রম চলছে চৌমুহনী, আদাঐর, শাহজাহানপুর ও জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদের। এগুলোর মধ্যে চৌমুহনী , শাহজানপুর ও জগদীশপুর এই ৩টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ।

 

একটি সূত্র জানায়, পরিষদের জন্য উপযুক্ত জায়গা না পাওয়ায় এ সকল ইউনিয়ন পরিষদে কমপ্লেক্স নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

 

শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ হাসান চৌধুরী বলেন- মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস সাথে জড়িয়ে রয়েছে শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে। ১৯৬৩ সালে এই ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই ছোট একটি ভবনে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কক্ষ সংকটের কারণে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্রাম আদালতের বিচারিক কার্যক্রম চলছে বেশ কষ্টে। সেবাগ্রহীতারা আসলে থাকে না বসার জায়গা। কমপ্লেক্স হলে ইউনিয়নবাসীকে সেবাদানের পরিধি বেড়ে যেতো।

 

চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, পুরাতন ভবনেই জনসাধারনকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। ভূমি জটিলতার কারণে চৌমুহনী ইউনিয়ন কমপ্লেক্স হচ্ছে না। সরকারি সহযোগিতায় ভূমি জটিলতা কাটিয়ে কমপ্লেক্স ভবন হলে জনসাধারণকে দেওয়া সেবার মান আরোও বেড়ে যেত।

 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী শাহ আলম এ বিষয়ে জানান, ভূমি সংকটের কারণে চারটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। আগে একটি কমপ্লেক্স করতে ৫০ শতক ভূমির প্রয়াজন ছিলো। এখন ২৫ শতক ভূমি হলে কমপ্লেক্স করা যায়। যে চারটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ বাকি রয়েছে সেগুলোর চেয়ারম্যানরা ২৫ শতক ভূমির ব্যবস্থা করে দিলে আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরে পাঠাবো। এতে এই চার ইউনিয়ন পরিষদের কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রক্রিয়া দ্রুততর হবে।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / সানাউল / ডালিম / এসডি-২১