দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি কামাল উদ্দিনকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।

 


মঙ্গলবার দুপুরে দিরাই পৌর শহরের থানা পয়েন্টে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের একাংশের উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়।

 

এর আগে গত ১৬ নভেম্বর দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

 

এতে দিরাই বাজার মহাজন সমিতির সভাপতি কামাল উদ্দিনকে সভাপতি ও প্রদীপ রায়কে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কামাল উদ্দিন বিএনপির সমর্থক ছিলেন। তিনি জলমহাল ব্যবসায়ী। জলমহাল কেন্দ্রিক খুনের মামলার আসামী। বিগত উপ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের সদস্যও নন কামাল উদ্দিন। হঠাৎ করেই তাঁকে সভাপতি করায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

 

অবিলম্বে সভাপতি পদ থেকে কামাল উদ্দিনকে অব্যাহতি না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন বক্তারা।

 

দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম মংলা মিয়ার সভাপতিত্বে ও যুবলীগ নেতা রুবেল সরদারের সঞ্চালনায় মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, দিরাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহন চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য রায়হান মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক করম উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক ইদন মিয়া, সদস্য ধনীর রঞ্জন রায়, আব্দুল হান্নান, সাবেক পৌর কাউন্সিলর এনামূল হক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি আব্দুল কাইয়ুমসহ যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতারা।

 

নবগঠিত কমিটির সভাপতি কামাল মিয়া বললেন, আমি ১৯৯৪ সালে হওয়া যুবলীগের কমিটির সহ সভাপতি ছিলাম। আমার ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিন সভাপতি ছিলেন। আমার পরিবার আওয়ামী লীগের পরিবার। যারা আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে তারা ১৪ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপর হামলা করেছিল। এরা আওয়ামী লীগের কেউ নয়। মানববন্ধনকারীরা আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। অতিতেও করেছে।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/হিল্লোল/এসডি-১৫