নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়লেখা:: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ মামলার আসামি মুসলিম উদ্দিন ওরফে বলাই মিয়া (৪৫)-কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গতকাল শুক্রবার (০২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে উপজেলার মহদিকোনা বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 


বলাই মিয়া তালিমপুর ইউনিয়নের মুর্শিবাদকুরা গ্রামের মৃত সুরমান মিয়ার ছেলে। শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীর বাবা ও আসামি মুসলিম উদ্দিন ওরফে বলাই মিয়া একসঙ্গে কাজ করেন। পূর্বপরিচিত হওয়ায় বলাই মিয়া প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। গত ১০ অক্টোবর ওই কিশোরী তার মামার বাড়িতে বেড়াতে যায়। ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় হঠাৎ বলাই মিয়া একটি অটোরিকশা নিয়ে কিশোরীর মামার বাড়িতে যায়। বলাই মিয়া সেখানে গিয়ে মেয়েটিকে তার মায়ের অসুস্থতার কথা বলে দ্রুত তার সঙ্গে গাড়িতে উঠতে বলেন। এরপর বলাই তাকে গাড়িতে তুলে কৌশলে অপহরণ করে সিলেটে নিয়ে যায়। সেখানে একটি হোটেলে পাঁচদিন আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ১৬ অক্টোবর রাতে বলাই মিয়া মেয়েটিকে বড়লেখা পৌরশহরের বাস স্ট্যান্ডের পাশে ফেলে যায়। সেখান থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা গত ০৩ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বড়লেখা থানায় বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান গতকাল শুক্রবার (০২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আসামি মুসলিম উদ্দিন ওরফে বলাই মিয়াকে উপজেলার মহদিকোনা বাজার থেকে গ্রেপ্তার করেন। 

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান শনিবার বেলা দুইটায় বলেন, কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ মামলার আসামি মুসলিম উদ্দিন ওরফে বলাই মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/লাভলু