দরজায় কড়া নাড়ছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন। এর মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্ব পাবে উপমহাদেশের অন্যতম বৃহত্তম এ ছাত্রসংগঠন। নতুন নেতৃত্ব নিয়ে সংগঠনটির ভিতরে বাইরে চলছে নানান আলোচনা।

ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে বয়সসীমা রয়েছে অনুর্ধ্ব ২৭ বছর। কিন্তু নিয়মিত সম্মেলন না হওয়ায় গত তিন সম্মেলনে ছাত্রলীগের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে অনুর্ধ্ব ২৯ বছর করা হয়।


সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীকে অব্যহতি দেওয়ার পর সভাপতি হিসেবে আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লেখক ভট্টাচার্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

জয়-লেখক ২ বছর ১১ মাস দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ের মধ্যে চলে আসে মহামারি করোনাভাইরাস। যথাসময়ে ছাত্রলীগের সম্মেলন করতে পারেননি জয়-লেখক। ফলে এবারের সম্মেলনে বয়স বাড়ানোর বিষযটি আলোচিত।

আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাও মত দেন বয়স বাড়ানোর পক্ষে। তবে, আওয়ামী লীগ সূত্রে সর্বশেষ পাওয়া তথ্য হচ্ছে, বয়সসীমা বাড়ছে না ছাত্রলীগে। এবারও এই বয়সসীমা হবে অনুর্ধ্ব ২৯ বছর। এটা আর বাড়ানো হবে না।

ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করলে তিনি বয়সসীমা ও ছাত্রত্বের ব্যাপারে খোঁজ নেন। এসময় তিনি গত সম্মেলনে ২৯ বছর হওয়া বয়সসীমার প্রতি মৌন সমর্থন জানান।

বয়সসীমা বেঁধে দেবার দরুণ অনেক নেতৃত্ব প্রত্যাশী হেভিওয়েট নেতাদের নেতৃত্বে আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, যারা ইতোপূর্বে বেশ আলোচনায় ছিলেন।

বয়স জালিয়াতকারীদের খোঁজে গোয়েন্দারা

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন বয়সসীমার বাইরে থাকা অনেক প্রার্থী। যারা আগেই সংগঠনটির শীর্ষ পদের জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন।

ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানায়, এদের মধ্যে কয়েকজন প্রার্থী বয়স জালিয়াতি করেছেন। এদের ব্যাপারে গোয়েন্দা সংস্থা বিভিন্নভাবে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তবে, বয়স জালিয়াতির বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। যারা এটি করবে তাদের ব্যাপারে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সার্বিক বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে বয়সের ব্যাপারে গঠনতন্ত্রে স্পষ্ট বিধান রয়েছে। বিভিন্ন কারণে সেটি বাড়ানো হয়ে থাকে। গত কয়েকটি সম্মেলনে বয়স ২৯ বছর করা হয়েছে। এবারও সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও, প্রার্থীর একাডেমিক কোয়ালিফিকেশন, পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড, বিতর্কমুক্ত কি না সেসব ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হবে।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/ইআ-১১