খেলবেন, সেই নিশ্চয়তাই ছিল না। তবে শঙ্কার কালো মেঘ উড়িয়ে চোট কাটিয়ে নেইমার ফিরলেন, গোল করলেন, ছন্দময় ফুটবল উপহার দিয়ে হলেন ম্যাচসেরা। আদতে নেইমার দলের অধিনায়ক নন, তবে পারফরম্যান্সের দিক থেকে তো তিনিই ‘অধিনায়ক’। তাকেই নেতৃত্ব দিতে হয় সামনে থেকে।

নেইমার ম্যাচ সেরা হয়ে কথা বললেন একজন অধিনায়কের মতোই। জানিয়ে দিলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার তাঁর একার নয়, বরং দলের সবার। সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়াকে হেসেখেলে হারানোয় দলের পারফরম্যান্সে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন এই তারকা ফুটবলার।


কোরিয়ার বিপক্ষে নেইমারকে পেয়েই ব্রাজিলের আসল রূপ দেখা গেছে। মূলত ব্রাজিল খেলাটা শেষ করে দিয়েছে ৩৬ মিনিটের মধ্যেই। ৭ থেকে ৩৬ মিনিট, এই সময়ের মধ্যে একটি করে গোল করেন ভিনিসিউস জুনিয়র, নেইমার, রিচার্লিসন ও লুকাস পাকেতা। চোট থেকে ফেরার দিনে ১৩তম  মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন নেইমার। শুধু শরীরের ডজে আস্তে শট নিয়েও তিনি গোলরক্ষককে বোকা বানান।

সার্বিয়ার বিপক্ষে চোটে পড়ার পর প্রথমবার মাঠে নেমেছেন নেইমার। খুব বেশি অনুশীলনেরও সুযোগ পাননি। এরপরও মাঠে যেভাবে তিনি পারফর্ম করেছেন, তাতে খুশি নিজেই। তবে এখনো দেখছেন নিজের উন্নতির সুযোগ।

নেইমার আলাদা করে আলো ছড়িয়েছেন। ব্রাজিলের দাপুটে জয়ে রেখেছেন বড় ব্যবধান, চলতি বিশ্বকাপের প্রথম গোলের পাশাপাশি জিতে নিয়েছেন প্রথম ম্যাচসেরার পুরস্কারও।

ম্যাচ শেষে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে নেইমার বলেছেন, ‘চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরতে পেরে খুবই সন্তুষ্ট। আমার মনে হয় আমি ভালো খেলেছি। পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট। তবে সব সময়ই উন্নতি করা যায়, তাই পারফরম্যান্স নিয়ে শতভাগ সন্তুষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই। আমার ম্যাচ সেরার পুরস্কার আমার নয়, দলের সবার। সতীর্থদের পারফরম্যান্সে দারুণ সন্তুষ্ট আমি।’

কোরিয়ার বিপক্ষে নেইমার একা নন, পারফর্ম করেছেন দলের সবাই। এমন এক ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা কঠিন বলেই মনে করেন নেইমার, ‘এই ম্যাচে ম্যাচসেরা হওয়াটা কঠিন। কারণ, দলের সবাই ভালো খেলেছে। পুরো দল তাদের পারফরম্যান্সে খুশি। দল হিসেবে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা পরের ধাপে যেতে চেয়েছি, জিততে চেয়েছি সেটা করতে পেরেছি।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে