প্রতীকী ছবি।
জন্মনিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদি পরিবার পরিকল্পনায় দম্পতিদের আগ্রহ কমছে। গত পাঁচ বছরের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে মিলেছে এমন তথ্য। তবে এর মধ্যেও সারা দেশের তুলনায় সিলেটের অবস্থান খানিকটা ভালো। দেশের অন্য বিভাগগুলোর তুলনায় সিলেটে দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি ব্যবহারে অনাগ্রহের হার কম।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ২০১৭–১৮ থেকে ২০২১–২২ অর্থবছরের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে ইনজেকশন, ইন্ট্রা-ইউটেরিন ডিভাইস (আইউডি) বা কপার টি ও ইমপ্ল্যান্ট। এসব পদ্ধতি গ্রহণ করে গর্ভধারণে ৩ মাস থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বিরতি নেওয়া যায়।
তথ্যানুসারে, জন্মনিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদি পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার গত পাঁচ বছরে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩২ দশমিক ৫৯ ভাগ কমেছে ঢাকায়। এরপর রাজশাহীতে ২৩ দশমিক ১৬ ভাগ, খুলনায় ২২ দশমিক ১৪ ভাগ দম্পতি এই পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহ হারিয়েছেন।
ময়মনসিংহ বিভাগে ১২ দশমিক ৯৬ ভাগ, চট্টগ্রামে ৯ দশমিক ৭২ ভাগ, রংপুরে ৯ দশমিক ১৫ ভাগ, বরিশালে ৭ দশমিক ৯৮ ভাগ কমেছে দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতির ব্যবহার।
আর সিলেট বিভাগে দেশের জন্মনিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদি পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার কমার হার সবচেয়ে কম। এখানে গেল পাঁচ বছরে ২ দশমিক ৮০ ভাগ দম্পতি এই পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহ হারিয়েছেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে