সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেছেন, আজ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এটি একটি অবিস্মরণীয় ও স্বাধীনতার দিনকে প্রতিফলিত করার দিন। ১০ জানুয়ারি একদিনে আসেনি দীর্ঘ নয় মাস কঠিন সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আসে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা যুদ্ধ করেছি। জাতির জনকের ভাষণ ছিলো আমাদের মূলমন্ত্র। এই ভাষণ আমাদেরকে উজ্জীবিত করতো।
এখনো এই ভাষণ সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশকে স্থান করে দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু জীবনের তিন ভাগের দুই ভাগ অংশ জেলে কাটিয়েছেন। তিনি জেলে থাকায় অবস্থায় কর্মসূচী দিতেন। আমরা কাজ করতাম। ১৯৭১ সালে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এগিয়ে গেছি। বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। এগুলোোদ বললে এখনো গা শিহরে ওঠে। বঙ্গবন্ধুর অনেক কিছু পাওয়ার সুযোগ ছিলো। কিন্তু তা গ্রহণ করেন নি। জীবনের মায়া ছেড়ে তিনি দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার ডাকেই আমরা সক্রিয় ছিলাম। তছাড়া ভারত আমাদের প্রচুর সহযোগিতা করেছে। ক্যাম্পে আমরা ১১ জন প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। বিভিন্ন এলাকায় এসে এডভান্স ট্রেনিং দিতাম। কৈলাশর এলাকায় গিয়েও যুদ্ধের ট্রেনিং দিয়েছি। অনেক বন্ধু ও সাথিদের হারিয়েছি। কিন্তু বিশ্বাস ছিলো একদিন আমরা জয় লাভ করবো। তারই ধারাবাহিকতায় ১৬ ডিসেম্বর বিজয় আসে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বিএনপি হলো পাকিস্তানের প্রেতাত্মা। তাদের কারণে দেশ পিছিয়ে গেছে। বিএনপি সম্পর্কে সর্তক থাকতে হবে। তারা ঘাপটি মেরে বসে আছে। তিন ভাই তিন দল করে তাদেরকে সুযোগ দেওয়া যাবে না। তাদের সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। ইমানের সাথে কাজ করতে হবে। বেঈমানী করলে হবে না। সংগঠনের নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে। সংগঠনকে জানতে হবে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস জানতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে এবং আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখে স্থাপিত জাতির পিতার ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাড়ে ১১টায় তালতলাস্থ গুলশান সেন্টারে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ।
সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, মোঃ সানাওর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন লোকমান,শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, উপদেষ্টা আব্দুল মালিক সুজন, ১১ ও ২৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন বক্স সালাই, বদরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলওয়াত করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া এবং পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, মোঃ শাজাহান, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, সাইফুল আলম স্বপন, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, রকিবুল ইসলাম ঝলক, উপদেষ্টা এডভোকেট আব্দুল মালিক, এনাম উদ্দিন, কানাই দত্ত, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা সুব্রত চক্রবর্তী শুভ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আব্দুর রব হাজারী, আব্দুল হামিদ, রোকন আহমদ, দিলোয়ার হোসেন রাজা, ইসমাইল মাহমুদ সুজন, আব্দুস সালাম সাহেদ, সৈয়দ আনোয়ারুস সাদাত, সোয়েব বাসিত, এম.এ খান শাহীন, জাহিদুল হোসেন মাসুদ, নজরুল ইসলাম নজু, মো. বদরুল ইসলাম বদরু, মানিক মিয়া, মইনুল ইসলাম মঈন, ফজলে রাব্বি মাসুমসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-১২