গ্রামীণ জনপদে গবাদিপশুর বিচরণ, সোঁদা মাটির গন্ধভরা বাংলার পল্লীজীবনে প্রতিদিনের রূপ। এদেশের পরতে পরতে লুকিয়ে আছে পল্লীর নানান সৌন্দর্য। যুগে যুগে বিভিন্ন নন্দিত কবি ও সাহিত্যিকদের লেখায় এগুলো ফুঁটে উঠেছে বারবার।

 


সাঁজবেলায় গ্রামের আলপথ ধরে গোয়ালে গরু ফেরানো আর শুকনো খড়ের মাঠই বলে দেয় পৌষের শেষবেলায় প্রকৃতির পরিবর্তন। সাংসারিক জীবনে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের অবদান গ্রাম্য জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

 

‘যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে’- গ্রাম বাংলায় কথাটা অনেক আগে থেকে প্রচলিত তবে তখনকার প্রেক্ষাপটে কতটুকু প্রযোজ্য তা জানা নেই; কিন্তু এখনকার সময়ে এটি সর্বাংশে সত্য।

গ্রাম বাংলার এক নারীর দিন কাটে কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠেই ঘর-বাড়ি ঝাড়ু দেয়া, গবাদিপশুর দেখাশোনা করা সহ বাড়ির সমস্ত কাজের মধ্য দিয়ে।অধিকাংশ পরিবারে প্রত্যক্ষ করা যায় যে—সাংসারিক ব্যস্ততা সেড়ে মাঠের বিভিন্ন কাজে পুরুষদের পাশাপাশি একাগ্রতা সহকারে কাজ করে যাচ্ছেন নারীরা।

 

সংসারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে অনেকে বাড়িতে হাস-মুরগি, গরু-ছাগল লালন পালন করে থাকেন। আবার বাড়ির আঙ্গিনায় শাকসবজি আবাদ করেন। গরুর দুধ, হাঁস মুরগির ডিম বিক্রি করে বাড়তি একটা আয় হয়, যার ফলে সংসারের অনেক প্রয়োজন মেটানো যায়। পাশাপাশি এসবের সাহার্যে নিজেদের আমিষের চাহিদা মিটে যাওয়ার কাজও হয়।

 

গ্রামীণ জীবনে নারীদের অবদান পুরুষদের থেকে খুব একটা কম নয়, যার প্রতিটি বিষয় দিনদিন উদ্দীপ্ত হয়ে উঠছে।কর্মক্ষেত্রে নারীদের এই অবদান পুরুষদের কাজের চাপকে অনেকাংশে সাহায্য করেই যাচ্ছে। তারপরেও নারীরা কেন অবহেলিত, শোষিত।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/পল্লব/এসডি-২৫