নেপালে প্লেন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন কো-পাইলট অঞ্জু খাতিওয়াদা। ১৬ বছর আগে এমনই এক প্লেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন তার স্বামী। ঘটনাচক্রে তিনিও কো-পাইলট ছিলেন এবং প্লেনটিও ছিল ইয়েতি এয়ারলাইনসের।
গত রোববার (১৫ জানুয়ারি) প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে স্বামীর মতো একইভাবে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৪ বছর বয়সী অঞ্জু। ইয়েতি এয়ারলাইনসের।
১৬ বছর আগে ২০০৬ সালের ২১ জুন নেপালেই একটি বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হয়েছিল অঞ্জুর স্বামী দীপক পোখরেলের। সেই দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হয় ৬ জন যাত্রী ও ৪ জন বিমানকর্মীর। অঞ্জুর মৃত্য়ুও হলো একই ভাবে।
মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলা অঞ্জু প্রসঙ্গে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘তার স্বামী দীপক পোখরেল ২০০৬ সালে জুমলায় ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি টুইন অটার প্লেন দুর্ঘটনায় মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর পাওয়া বিমার টাকা ব্যবহার করেই পাইলটের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন অঞ্জু।’
সুদর্শন জানান, কো-পাইলট অঞ্জুর ৬ হাজার ৪০০ ঘণ্টার বেশি উড্ডয়নের অভিজ্ঞতা ছিল। তিনি আগেও রাজধানী কাঠমাণ্ডু থেকে পোখারা রুটে প্লেন চালিয়েছেন।
রোববার দুর্ঘটনা কবলিত প্লেনটির পাইলট ছিলেন প্রায় ২২ হাজার ঘণ্টা উড্ডয়নের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কমল কে সি। তার মরদেহ এরই মধ্যে উদ্ধার ও চিহ্নিত করা হয়েছে। কো-পাইলট অঞ্জুর মরদেহ এখনো শনাক্ত হয়নি। তবে দুর্ঘটনায় তিনিও প্রাণ হারিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রোববার নেপালের পশ্চিমাঞ্চলীয় কাস্কি জেলার পোখারায় ৭২ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি এটিআর-৭২ প্লেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বাকিদের খোঁজে চলছে উদ্ধারকাজ। তবে আর কোনো আরোহীকে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে বলে জানিয়েছে নেপাল পুলিশ।
কাস্কি জেলা পুলিশ অফিসের ভারপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা জ্ঞান বাহাদুর খড়কা জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো পোখারা স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অ্যাকাডেমিতে রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৫টি মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে।
দেশটির অভ্যন্তরীণ রুটে বিধ্বস্ত প্লেনে স্থানীয়দের পাশাপাশি ১৫ বিদেশি নাগরিকও ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন ভারতের, চারজন রাশিয়ান, একজন আইরিশ, দুজন দক্ষিণ কোরিয়ার, একজন অস্ট্রেলিয়ার, একজন ফ্রান্সের ও একজন আর্জেন্টিনার নাগরিক।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-১০
সূত্র : জাগোনিউজ