অপেক্ষার প্রহর ঘুচিয়ে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজের উদ্বোধন হতে চলেছে দেশের প্রথম পাতাল বা ভূগর্ভস্থ মেট্রোরেলের। ওইদিন সশরীরে নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমআরটি-১ প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দর রুটে হবে এই পাতাল মেট্রোরেল। যার মোট দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার। এরমধ্যে পাতাল অংশে থাকবে ১২টি স্টেশন।

ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এমআরটি-১) সংশ্লিষ্টরা এই তথ্য জানিয়েছেন।


এমআরটি-১ নামে পরিচিত ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেট্রোরেল দুটি অংশে বিভক্ত। এরমধ্যে একটি বিমানবন্দর রুট (বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর) ও অন্যটি পূর্বাচল রুট (নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো)। যারমধ্যে পূর্বাচল রুটের মোট দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার। এই অংশটি সম্পূর্ণ উড়াল। এ ক্ষেত্রে মোট ৯টি স্টেশনের ৭টি স্টেশন হবে উড়াল। বাকি দুটি (নদ্দা ও নতুন বাজার) স্টেশন বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে পাতালে নির্মিত হবে। যা পরবর্তীতে নতুন বাজার স্টেশনে এমআরটি-৫ এর সঙ্গে যুক্ত হবে।

এমআরটি সূত্রে জানা গেছে, এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণকাজ তত্ত্বাবধানের জন্য ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়। এটির নির্মাণকাজ মোট ১২টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে।

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আবুল কাসেম ভূঁঞা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোর কাজ ২৬ জানুয়ারি শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে, দিনটি পরিবর্তন করে ২ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে। ওইদিন পাতাল রেললাইন নির্মাণকাজের ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমেই মূলত প্রকল্পের অবকাঠামোগত কাজ শুরু হবে।
 

এর আগে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেছিলেন, এ কাজের জন্য আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করব। খননে যে মাটিগুলো নরম ছিল বা যেখানে নিচের মাটিগুলো শক্ত হয়নি, সে জন্য সেন্ড পাইলিং করব। অর্থাৎ নির্ধারিত স্থানের নিচের দিকে অতিরিক্ত খনন করা হবে। এরপর সেখানে বালি দিয়ে পাইল বা শক্ত করা হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে এর কাজ শেষ হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/পল্লব-১৯


সূত্র : ঢাকা মেইল