কুলাউড়া উপজেলার সাদেকপুর এলাকার অসহায় দিনমজুর মো. বিদ্যা মিয়ার ছেলে রায়হান (৪) চোখে টিউমার রোগে ভুগছেন।

 


অর্থাভাবে গরিব অসহায় পিতা-মাতার পক্ষে চিকিৎসা করাতে না পারায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফুটফুটে শিশু রায়হানের একটি চোখ।

 

গত কয়েকদিন আগে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার ওই এলাকায় রাতে হাঁটতে গিয়ে বিষয়টি তাঁর চোখে পড়ে।

 

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে মানবিক দিক বিবেচনা করে তিনি ইস্পাহানী চক্ষু হাসপাতালের এক চিকিৎসক নিয়ে ওই শিশুর বাড়িতে যান। চিকিৎসক শিশুর চোখ দেখে এ সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

এ সময় ইউএনওর সঙ্গে ছিলেন- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান, ইস্পাহানী চক্ষু হাসপাতাল কুলাউড়া সেন্টারের অফিস ব্যবস্থাপক রঞ্জন চক্রবর্তী, সিলেটভিউ ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের জেলা প্রতিনিধি এস আর অনি চৌধুরী।

 

শিশু রায়হানের পিতা মো. বিদ্যা মিয়া সিলেটভিউকে জানান, তার ছেলে জন্ম থেকে এ সমস্যায় ভুগছে। চোখের এ সমস্যা সমাধানে অনেক টাকা প্রয়োজন- যা টাকার অভাবে চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছেনা।

 

তিনি ইউএনওর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, ‘ইউএনও স্যার গত কয়েকদিন আগে এই এলাকায় আসায় তাঁর চোখে আমার ছেলের এ বিষয়টি পড়ে। তিনি আশ্বস্ত করেছেন আমার ছেলের জন্য যা যা সহযোগিতা প্রয়োজন করে যাবেন।’

 

ইস্পাহানী চক্ষু হাসপাতাল কুলাউড়া সেন্টারের অফিস ব্যবস্থাপক রঞ্জন চক্রবর্তী সিলেটভিউকে বলেন, বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে শিশু রায়হানকে আমাদের সেন্টারে নিয়ে আসার জন্য তার পিতাকে বলেছি। রায়হানের চোখ পরীক্ষানিরীক্ষার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে জানিয়ে ইউএনও মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার সমাজের বিত্তশালীদেরও শিশু রায়হানের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।

 

তিনি সিলেটভিউকে বলেন, গত কয়েকদিন আগে সাদেকপুর এলাকায় রাতে হাঁটতে গিয়ে শিশু রায়হানের বিষয়টি চোখে পড়ে।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/অনি/এসডি-০১