সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় জৈন্তিয়াপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫টি পদে লোকবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকসহ বিভিন্ন মহলে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিয়োগ প্রার্থীরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৪ অক্টোবর জৈন্তিয়াপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দৈনিক সিলেটের ডাক ও দৈনিক সমকাল পত্রিকায় ৫টি পদে লোক নিয়োগের জন্য বিধি মোতাবেক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি দেখে বেশ কয়েকজন নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি নিয়োগ পরীক্ষর জন্য চাকরি প্রার্থীদের কাছে চিঠি প্রেরণ করে। প্রার্থীরা নির্ধারিত দিনে পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করে পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী তাদের গোপন চুক্তি মোতাবেক ৫টি পদে লোক মনোনয়ন করে। পরীক্ষায় যারা প্রথম স্থান অর্জন করে উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদেরকে নিয়োগ না দিয়ে পূর্বে মনোনীতদের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেখিয়ে নিয়োগ দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। উত্তীর্ণদের ফলাফল প্রকাশ না করে গোপনে চুক্তি করে নিয়োগ দিতে গিয়ে এমন পরীক্ষা নেওয়ার নাটক সাজিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।  


অভিযোগে প্রার্থীরা আরও উল্লেখ করেন- প্রতিষ্ঠানটির অফিস সহায়ক কাম হিসাব সহকারী পদে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নাম ভাঙিয়ে অযোগ্য ও বয়সোত্তীর্ণ প্রার্থীকে বাছাই এবং নৈশ্য প্রহরী পদে জ্বাল সনদ তৈরি করে ম্যানোজিং কমিটির সভাপতির ভাতিজাকে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এর স্বপক্ষে অভিযোগকারীরা লিখিত অভিযোগের সঙ্গে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির একটি অডিও ক্লিপ বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করেন। 

অভিযোগটি মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী, মহা-পরিচালক ও সচিব মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, সিলেট জেলা প্রশাসক, জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে দাখিল করা হয়েছে। 

অফিস সহায়ক পদের প্রার্থী লিপি রানী দাস ও বাদল দত্ত সিলেটভিউ-কে জানান, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।  

জৈন্তিয়াপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানোজিং কমিটির সভাপতি মো. হায়দার আলী সিলেটভিউ-কে বলেন, সঠিক নিয়মে প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো প্রকার অনিয়ম করা হয়নি। আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের দায়িত্বরত একাডেমিক সুপার ভাইজার আজিজুল হক খোকন সিলেটভিউ-কে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার হবে।

একই বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-বশিরুল ইসলাম।  


সিলেটভিউ২৪ডটকম / সাব্বির / ডি.আর