আবার বিশেষ এই দিন প্রেম উদযাপনে মেতে ওঠে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা। আর এই ছেলেমেয়েদের নিয়েই চিন্তার ভাঁজ থাইল্যান্ডের প্রশাসনের মাথায়। আর সেই কারণেই প্রেম দিবসে সারা থাইল্যান্ডে বিনামূল্যে সাড়ে ৯ কোটি কনডম ফ্রিতে বিলি করা হবে।
 

অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ, যৌনতা জনিত রোগ যাতে না ছড়ায় সেই কারণেই এই ব্যবস্থা নিয়েছে থাইল্যান্ড সরকার। কারণ যৌনতা ব্যাপারটিকে সব সময়ই গুরুত্ব দেয় দেশটি।


ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টিভির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে থাইল্যান্ডে বিনামূল্যে সাড়ে ৯ কোটি কনডম বিতরণ করা হবে। অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ, যৌনরোগ যাতে না ছড়ায় সেই কারণেই এই ব্যবস্থা নিয়েছে দেশটির সরকার।

থাই সরকারের মুখপাত্র রাচাদা ধনাদিরেক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, চার ধরনের কনডম বিতরণ করা হবে। তরুণরা এই কনডমগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন দেশটির সব হাসপাতাল, ওষুধের দোকান ও প্রাইমারি কেয়ার ইউনিট থেকে।

সরকারের পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, নিরাপদ যৌনতা নিয়ে সচেতনতার প্রচার চালাতেই এই পদক্ষেপ। এসটিডি বা সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ বা যৌনরোগ মানে শুধু এইচআইভি বা এইডস নয়। এই তালিকায় রয়েছে গনোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া, সিফিলিসের মতো আরও অনেক রোগ যা অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক থেকে ছড়ায়। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের সময় তাই কনডম ব্যবহার করতে হবে।

যৌনতা ব্যাপারটিকে সব সময়ই গুরুত্ব দেয় থাইল্যান্ড। আর সেই কারণেই শহর জুড়ে নানারকম উদ্যোগও চোখে পড়ে। এই যেমন, থাইল্যান্ডে রয়েছে বিশেষ কনডম ক্য়াফে। এই ক্যাফেতে যখনই পা রাখবেন তখনই দেখতে পাবেন, ক্যাফের অন্দরসজ্জায় চারিদিকে ব্যবহার করা হয়েছে কনডম। কনডমের তৈরি ল্যাম্পশেড, কনডমের তৈরি ফুলদানি।

মেনু কার্ডেও ব্যবহার হয়েছে কনডম। এমনকি, বেশ কিছু খাবারের সঙ্গে রয়েছে কনডম নামও। যেমন, রয়েছে কনডম আইসক্রিম, কনডম টফি। এখানেই শেষ নয়, খাবার বিল মেটানোর পর আপনার হাতে তুলে দেওয়া হবে এক প্যাকেট কনডম! তবে শুধু মজার জন্য নয়। এর নেপথ্যে রয়েছে এক সাধু উদ্যোগও। সেফ সেক্সের প্রচারেই এমন ব্যবস্থা নিয়েছে থাইল্যান্ডের এই ক্যাফে। 

তবে এই ক্যাফে ঢোকার জন্য রয়েছে কঠিন নিয়ম। ১৮ বছর না হলে এই ক্যাফেতে ঢুকতে মানা। আর পোষ্য নিয়েও এই ক্যাফেতে যাওয়া যাবে না। খবর:  এই সময়’র।

সম্প্রতি থাইল্যান্ডে ব্যাপকভাবে এসটিডি বা যৌন রোগ বেড়ে গেছে। ২০২১ সালে এই ধরনের রোগে আক্রান্ত যে রোগীদের শনাক্ত করা হয়েছিল, তাদের অর্ধেকেরও বেশি আক্রান্ত ছিলেন সিফিলিস এবং গনোরিয়া রোগে। আক্রান্তদের অধিকাংশের বয়স ছিল ১৫ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-৮