দফায় দফায় গ্যাস, বিদ্যুৎ ও এলপিজি গ্যাসের বর্ধিত দাম দ্রুত কমানো, শীতকালে লোডশেডিং সহনীয় এবং বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতে দুর্নীতি, হরিলুট ও সিস্টেম লসের নামে চুরির সাথে জড়িতদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করার দাবীতে গ্যাস-বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার সময় সিলেট নগরীর সিটি পয়েন্টের কামরান চত্বরে এক গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 


গণজমায়েতে বক্তাগণ বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন (বিইআরসি) আইন সংশোধন করার সময় বলা হয়েছিল বিশেষ পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে। সেই পরিস্থিতি শুরু হওয়ার আগেই নির্বাহী আদেশে দফায় দফায় বিদ্যুৎ, গ্যাস ও এলপিজি গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে বিইআরসি-কে কার্যতঃ অচল করা হয়েছে। অর্থাৎ ইনসাফের মা এখন শ্মশানঘাটে। দেশের ইতিহাসে ৩ সপ্তাহের ব্যবধানে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘটনা এবারই প্রথম।
 

আবাসিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধি না করায় বর্তমানের সরকারের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তাগণ বলেন, সিস্টেম লস, দুর্নীতি ও হরিলুটকারীদের সনাক্ত ও গ্রেফতার না করে দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক ও বেআইনী। বর্তমান সরকারের আমলে গত ১৪ বছরে বিদ্যুতের দাম পাইকারীতে ১০ বার, খুচরাই ১৪বার বাড়ানো হয়েছে। আবার ক্যাপাসিটি চার্জের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় করা হচ্ছে। অথচ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো ২৭ হাজার টাকা পিডিবি’র কাছে পাওনা, যা অত্যান্ত দুঃখজনক। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা না থাকার কারণেই লুন্ঠনমূলক ব্যয় দিন দিন বেড়েই চলেছে। মূল্যস্ফিতির কারণে বিপর্যয়ের মধ্যে থাকা জনজীবন বিপর্যস্ত থেকে আরো বিপর্যস্ত। প্রিপেইড মিটারে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে ২০০ ডিজিট সংখ্যা ব্যবহার করতে গিয়ে বিড়ম্বনা ও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
 

দ্রুত এ সমস্যা নিরসন করে ভোগান্তি ও বিড়ম্বনা সৃষ্টিকারীদের খোঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানান।

উত্তর বঙ্গের মঙ্গা, করোনা মহামারী, পদ্ম সেতু, ছিটমহল বিনিময় সহ ঝুলে থাকা অনেক জাতীয় সমস্যা সমাধানে সরকার যেভাবে সাফল্য দেখিয়েছেন ঠিক তেমনি ভাবে গ্যাস-বিদ্যুত, মূল্যস্ফিতী নিরসনে যুগান্তরী ভূমিকা দেখতে চায় দেশবাসী। প্রয়োজনে শীর্ষ দুর্নীতিবাজদের কাছ থেকে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা উদ্ধার করে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কমিয়ের নির্দোষ অসংগঠিত সরলপ্রাণ গ্রাহকদের উপর ইনসাফ করার আহবান জানান বক্তাগণ।
 

গ্যাস-বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব জননেতা মকসুদ হোসেন এর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সদস্য রফিকুল ইসলাম শীতাবের পরিচালনায় গণজমায়েতের বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল হোসেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ রমেন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য্য, জেলা ছাত্রলীদের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মাষ্টার মহিউদ্দিন, রাজনীতিবিদ মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা ডাঃ অরুণ কুমার দেব, নেছারুল হক চৌধুরী বুস্তান, মামুনুর রশীদ এডভোকেট, সিনিয়র সাংবাদিক চৌধুরী দেলওয়ার হোসেন জিলন, সিলেট কল্যাণ সংস্থার সভাপতি এহসানুল হক তাহের, কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, সরোজ ভট্টাচার্য্য, মীর আব্দুল করিম পাখি মিয়া, তারেক আহমদ বিলাস, আমিরুল ইসলাম চৌধুরী আমনু, আব্দুল মোতাওয়ালী ফলিক, কয়েছ আহমদ সাগর, ইসমত ইবনে ইসহাক সানজিদ, দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইমাম হোসেন, সিনিয়র সহ সভাপতি নিয়াজ কুদ্দুস খান, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইকবাল মুন্না, যুগ্ম সাধারণ  সম্পাদক রিকন তালুকদার লিকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক সৈয়দ নুর আহমদ জুনেদ, অর্থ সম্পাদক বিজয় চন্দ্রনাথ বিপ্লব, মহিলা সম্পাদিকা রুনা বেগম, যুবনেতা কামাল আহমদ, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছাদেক মিয়া প্রমুখ।
 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-১১