১০ দাবিতে সারা দেশের ন্যায় জামালপুরের সাতটি উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নে বিএনপির পদযাত্রা ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ চলাকালে বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও আ.লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জামালপুর সদর থানায় দায়ের হওয়া দুটি মামলায় ১২ জন, মাদারগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া এক মামলায় চারজন, দেওয়ানগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া এক মামলায় সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে মেলান্দহ থানায় দায়ের হওয়া এক মামলায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন।
মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, সরকার পতনের আন্দোলনকে দমন করার জন্য পুলিশ অন্যায়ভাবে গণগ্রেপ্তার করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এসব করে জনগণের আন্দোলনকে দমন করা যাবে না। তিনি অবিলম্বে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গত শনিবার দুপুরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের কামালখান বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে এক পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এ সময় ৩৪ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ৪ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ ছাড়াও সদর উপজেলার দিগপাইত, ঘোড়াধাপ, বাঁশচড়া এবং মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও দেওয়নগঞ্জ উপজেলাতেও বিএনপি-আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-৭
সূত্র : দেশ রুপান্তর