রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় শিক্ষার্থীদের মারধরের ছবি ও ভিডিও ধারণ করায় এক সাংবাদিককে হেনস্তা করেন ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হক। তাকে ক্লোজড করা হয়েছে।
 

রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ক্র্যাব সদস্য ও ঢাকা মেইলের অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক এবং সিলেটভিউ-এর ঢাকা অফিস ইনচার্জ খলিলুর রহমানের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত ধানমন্ডি থানার এসআই আজিজুল হককে ক্লোজড করে আমার কার্যালয়ে সংযুক্ত করেছি। তাকে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ সাপেক্ষে পরবর্তী বিভাগীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
 


এর আগে রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় শিক্ষার্থীদের মারধরের ছবি ও ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিক খলিলুর রহমানকে হেনস্তা করে পুলিশ। এসময় ওই সাংবাদিককে ধরে গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। পরে অন্য সাংবাদিকরা বাধা দিলে তাকে ছেড়ে দিয়ে তোপের মুখে পালিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা।
 

প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক লতিফ রানা জানান, ভুক্তভোগী ঢাকা মেইলের অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক খলিলুর রহমান স্টালিন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেসনের (পিবিআই) সংবাদ সম্মেলন শেষে বের হচ্ছিলেন। ওই সময় পুলিশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে গাড়িতে তুলছিল। পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে খলিল মোবাইল ফোনে এ ঘটনার ছবি তুলছিলেন এবং ভিডিও ধারণ করছিলেন। এসময় পেছন থেকে এক পুলিশ সদস্য তার গলা ধরে আইডি কার্ড ও মোবাইল কেড়ে নেন।
 

তিনি জানান, খলিল নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও সেই পুলিশ সদস্য কোনো কথা না শুনে তাকে গাড়িতে তোলেন। খলিলকে গাড়িতে তোলার সময় সংবাদ সম্মেলন শেষে সেই রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বিশেষ প্রতিনিধি এনামুল কবীর রূপম। এসময় তিনি পুলিশকে বাধা দেন। পরে খলিলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তোপের মুখে পড়েন পুলিশ সদস্যরা। অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত সটকে পড়েন তারা।
 

ভুক্তভোগী সাংবাদিক খলিলুর রহমান জানান, পুলিশকে পরিচয় দেওয়ার পরও তারা শোনেনি। তাকে কলার ধরে মারধরের পর জোর করে গাড়িতে তোলা হয়। ওই সময় দুই সিনিয়র সাংবাদিকের হস্তক্ষেপে তিনি মুক্ত হন।
 

ক্র্যাবের নিন্দা
এদিকে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সদস্য ও ঢাকা মেইলের স্টাফ রিপোর্টার, সিলেটভিউ-এর ঢাকা অফিস ইনচার্জ খলিলুর রহমানকে হেনস্তার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল ও সাধারণ সম্পাদক মামুনূর রশিদসহ কার্যনির্বাহী কমিটির নেতারা।
 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-২২


সূত্র : জাগোনিউজ