রাশিয়ার আর্থিক খাতের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ওপর ৫০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউক্রেন। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, সব কটি বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিনিয়োগ তহবিল, বিমাসহ দেশটির কয়েকটি কোম্পানি।
ইউক্রেনে রুশ বাহিনী হামলা শুরুর এক বছর পূর্তিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়ার আর্থিক খাতের ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগের কৌশল বেছে নিয়েছে ইউক্রেন।
এর আগে বছরজুড়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিকবার বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা।
গতকাল এক ফেসবুক পোস্টে ন্যাশনাল ব্যাংক অব ইউক্রেনের গভর্নর আন্দ্রেই পাইসনি বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের বাজার ও সম্পদে রাশিয়ার প্রবেশাধিকার সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে। আমাদের সব দিক দিয়ে রাশিয়াকে দুর্বল করতে হবে। বিশেষত দেশটির আর্থিক খাতকে। কেননা এই খাত যুদ্ধের কৌশলগত দাতা।’
অন্যদিকে ইউক্রেনের অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী ইউলিয়া সাভারাদেঙ্কো জানান, নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাশিয়ার শতাধিক ব্যাংক ও হাজারো আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করা যাবে না। এই উদ্যোগ রুশ অর্থনীতিতে বাড়তি চাপ তৈরি করবে।
ইতিমধ্যে রাশিয়ার শত শত কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে ইউক্রেন। এখন দেশটির সরকার রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য পশ্চিমা মিত্রদের অনুরোধ করেছে। বিশেষ করে রাশিয়ার পরমাণবিক খাতের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা দেখতে চায় কিয়েভ।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে